বরগুনা সদর উপজেলা শিক্ষা অফিসের ভারপ্রাপ্ত শিক্ষা কর্মকর্তাসহ সহকারী দুই শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চুড়ান্ত মূল্যায়ন পরীক্ষার প্রশ্নপত্র কম্পোজের নামে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
গন প্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রাথমিক ও গন শিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের এক প্রজ্ঞাপনের সূত্রানুযায়ী জানা যায়, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চুড়ান্ত মূল্যায়ন পরীক্ষায় সহকারী উপজেলা/থানা শিক্ষা অফিসারের তত্বাবধানে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর সংখ্যানুযায়ী প্রশ্নপত্র কম্পিউটার কম্পোজ করে ফটো কপি করতে হবে। প্রশ্নপত্র ফটোকপি ও উত্তরপত্র (খাতা) সহ আনুষাঙ্গিক ব্যয়ের ক্ষেত্রে বিদ্যালয়ের আনুষাঙ্গিক খাত/স্লিপ ফান্ড থেকে ব্যয় নির্ধারণ করতে হবে। এমন নির্দেশনায় বরগুনা সদর উপজেলা শিক্ষা অফিস ১ম ও ২য় শ্রেণীর প্রশ্নপত্রের সেট প্রতি ১৫ টাকা এবং ৩য় থেকে ৫ম শ্রেণীর সেট প্রতি ২৫ টাকা ধার্য করলেও প্রশ্নপত্র কম্পোজ এবং মর্ডারেশনের নামে ভারপ্রাপ্ত উপজেলা শিক্ষা অফিসার আরিফুজ্জামান এবং অন্য দুই সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা শওকত আলী খান হিরন ও সুব্রত কুমার দাস সদরের ১০ টি ক্লাষ্টারের আওতায় ২২৭ টি বিদ্যালয় থেকে বিদ্যালয় প্রতি অতিরিক্ত ৪'শ টাকা আদায় করেছেন বলে শিক্ষকরা অভিযোগ করেন। এছাড়াও বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের দায়িত্বে প্রশ্নপত্র কম্পোজ করে বরগুনা বাজারের বিভিন্ন কম্পিউটারের দোকানে কোন গোপনীয়তা রক্ষা না করে জনসম্মুখে তা ফটোকপি করা হয়েছে বলে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে এই তিন শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে।
এ বিষয়ে সদর উপজেলা ভারপ্রাপ্ত শিক্ষা অফিসার আরিফুজ্জামান অতিরিক্ত ৪'শ টাকা আদায়ের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, প্রশ্নপত্র মর্ডারেশন এবং খামের জন্য এ টাকা আদায় করা হয়েছে। তানাহলে আমার ব্যক্তিগত প্রায় ৩-৪ হাজার টাকা খরচ হয়ে যায়।
এ বিষয়ে বরগুনা ব্জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আবদুর রাজ্জাক বলেন, এই অর্থ আদায় করার কথা নয়, তবুও বিষয়টি আমি দেখছি।