দিনাজপুরের বীরগঞ্জে আত্রাই নদীতে ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন এবং বালু পরিবহনে ড্রাম ট্রাক ব্যবহারের ফলে নষ্ট হচ্ছে ফসলসহ গ্রামীণ সড়ক। এতে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে কৃষক এবং কৃষি জমি। এতে নদী গর্ভে বিলীন হতে বসেেেছ অনেক ফসলী জমি। পাশাপাশি সড়ক ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ায় দুর্ভোগে পড়েছে সাধারণ মানুষ। এসব বন্ধের দাবিতে মানব বন্ধন করেছে ক্ষতিগ্রস্থ কৃষক।
উপজেলার শতগ্রাম ইউনিয়নের বলদিয়াপাড়া বালুমহালে ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন এবং ড্রাম ট্রাক বন্ধের দাবিতে রোববার (১১ডিসেম্বর ) সকাল ১০ টায় উপজেলার শতগ্রাম ইউনিয়নের আত্রাই নদীর ঝাড়বাড়ী-জয়গঞ্জ খেয়াঘাট বালু মহলের সামনে ঘণ্টাব্যাপী এ মানববন্ধন করে ক্ষতিগ্রস্থ কৃষক এবং সাধারণ মানুষ।
মানববন্ধন চলাকালে বক্তব্য রাখেন শতগ্রাম ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য মোঃ আবদুল সালাম, ঝাড়বাড়ী কলেজের সাবেক সহকারী অধ্যক্ষ মোঃ মোশাররফ হোসেন, ক্ষতিগ্রস্থ কৃষক আবু বক্কর সিদ্দিক, কৃষক আবদুল মতিন, মোঃ আশরাফুল, কৃষক আরশেদ আলী প্রমুখ।
ক্ষতিগ্রস্থ কৃষক আবু বক্কর সিদ্দিক অভিযোগ করে বলেন, ফসলী জমিতে পাট, ধান, সরিষা ভূট্টাসহ নানা ফসল আবাদ হয়। এই এলাকার সাধারণ মানুষ জীবিকা নির্বাহ করে এই জমির ফসল দিয়ে। কিন্তু বালু মহল নামে দীর্ঘদিন ধরে নদী থেকে অপরিকল্পিতভাবে অবাধে ড্রেজার দিয়ে বালু কেটে নিচ্ছে। ইতোমধ্যে ১৫ একরের মত জমি নদীগর্ভে বিলিন হয়েছে এবং শত শত বিঘা আবাদি জমি ঝুঁকির মুখে পড়েছে।
একই অভিযোগ জানিয়ে ক্ষতিগ্রস্থ কৃষক মোঃ আশরাফুল বলেন, ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন এবং বালু সরবহারের ক্ষেত্রে ড্রাম ট্রাক ব্যবহারের ফলে বিভিন্ন ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে এই এলাকার মানুষ। আমরা উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে লিখিত অভিযোগ দেওয়ার পরও কার্যকর কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। বাধ্য হয়ে আমরা রাস্তায় নেমেছি।
অতি দ্রুত ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন এবং ড্রাম ট্রাক দিয়ে বালু সরবরাহ বন্ধ না হলে শতাধিক কৃষকের জমি নদীর গর্ভে বিলীন হয়ে যাবে বলে আশঙ্কা করছেন বক্তাগণ। এ কারণে দ্রুত ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন ও ড্রাম ট্রাক বন্ধ এবং নতুন করে বালুমহাল ইজারা না দেওয়ার জন্য প্রশাসনের অনুরোধ জানিয়েছেন কৃষকেরা।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার জিনাত রেহানার সাথে মুঠো ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।