নিজের অমতে পরিবারের সদস্যদের চাঁপের মুখে লাল শাড়ি আর মেহেদী পড়ে পাঁচ মাস আগে বিয়ের সাঁজে শ্বশুরবাড়ি গিয়েছিলো অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী বর্ষা আক্তার (১৫)। পরবর্তীতে গত দুইমাস পূর্বে স্বামীর সাথে অভিমান করে বাবার বাড়িতে অবস্থান করছিলো বর্ষা।
আগামীকাল বুধবার বর্ষাকে তার বাবার বাড়ি থেকে স্বামীর বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার কথা ছিলো। তবে স্বামীর বাড়িতে যাওয়ার আগেই গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে বর্ষা। ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার সকালে জেলার গৌরনদী পৌর এলাকার বড় কসবা মহল্লায়। নিহত বর্ষা ওই গ্রামের ভ্যানচালক সাইফুল মালের মেয়ে ও গৌরনদী গার্লস স্কুল এ- কলেজের অষ্টম শ্রেনীর ছাত্রী ছিলো।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, গত পাঁচ মাস পূর্বে নিজের অমতে পরিবারের সদস্যদের চাঁপের মুখে স্কুল ছাত্রী বর্ষা আক্তারের বিয়ে হয় গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলার ইমাম হোসেন রনির সাথে। বিয়ের তিনমাস পর স্বামীর সাথে অভিমান করে বর্ষা তার বাবার বাড়িতে চলে আসে। এরপর সে বাবার বাড়ি থেকে আর শ্বশুর বাড়িতে যেতে চাচ্ছিলোনা। এনিয়ে দুই পরিবারের মধ্যে আলোচনার পর আগামীকাল বুধবার বর্ষাকে তার শ্বশুর বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার কথাছিলো। কিন্তু সোমবার সকালে বসতঘরে কেউ না থাকার সুযোগে ঘরের আড়ার সাথে গলায় রশি দিয়ে আত্মহত্যা করে বর্ষা। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, জোরপূর্বক বাল্যবিয়ে দেয়ার কারণেই স্কুল ছাত্রী বর্ষা আক্তার আত্মহত্যা করেছে। গৌরনদী মডেল থানার ওসি (তদন্ত) মোঃ হেলাল উদ্দীন জানান, খবরপেয়ে মৃতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।