অন্যের পানের বরজে শ্রমদিয়ে চলে দরিদ্র ঘরের জিপিএ-৫ পাওয়া মেধাবী আমিরুলের লেখা পড়া অর্থের অভাবে বন্ধের পথে। সে ২০২২ সালের অনুষ্ঠিত এসএসসি পরীক্ষায় বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলার রাংতা মাধ্যমিক বিদ্যালয় বিজ্ঞান বিভাগ থেকে জিপিএ-৫ ফলাফল করলেও বর্তমানে অর্থের অভাবে তার ভাল কলেজে ভর্তি হওয়া অনিশ্চিত হয়ে পরেছে।
বরিশাল জেলার আগৈলঝাড়া উপজেলার রজিহার ইউনিয়নে রাংতা গ্রামের দরিদ্র কৃষক রাজ্জাক গোমস্তার ও মা মুন্নী বেগম একজন গৃহীনির ছেলে আমিরুল গোমস্তা। অন্যের পানের বরজে শ্রমিদিয়ে চলে রাজ্জাক গোমস্তার সংসার। তিন ভাই বোনের মধ্যে আমিরুল সবার ছোট। পিতার পাসাপসি অভাব-অনাটন ও টানাটানির সংসারে আমিরুল গোমস্তাও অন্যের পান বরজে কাজ করে নিজের পড়া লেখার খরজ চালাতো।
মেধাবী আমিরুল গোমস্তা সাথে কথা বলে জানাগেছে, অন্যের পানের বরজে কাজ করে দৈনিক ৬ থেকে ৮ঘন্টা লেখাপড়ার করত। আমারএই সাফল্যের পিছনে সবচেয়ে বেশী অবদান রয়েছে পিতা ও বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের। আমার ইচ্ছে একজন ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার। বর্তমানে টাকার অভাবে ভাল কলেজে ভর্তি আমার অনিশ্চিত হয়ে পরেছে।
মেধাবীর ছাত্রের পিতা রাজ্জাক গোমস্তার বলেন, আমার ছেলে অনেক কষ্টকরে লেখা পড়া করছে। আমি ওকে ভালো কোন খাবার খাওয়াতে পারিনাই, তার ইচ্ছায় এতটুকু লেখাপড়া করেছে। আমি সমাজের বিত্তবানদের কাছে আমার ছেলের লেখা-পড়ার জন্য সহযোগীতা চাই।
এব্যাপারে রাংতা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক মিজানুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, আমিরুল গোমস্তা ছোট বেলা থেকেই ভাল লেখা পড়া করত। তার পড়া-শুনায় আগ্রাহ ছিল অনেক বেশী। তাকে একবার কোন পড়া বললে দ্বিতীয়বার বলার প্রয়োজন হত না। দরিদ্র হওয়ায় বর্তমানে অর্থের অভাবে আমিরুলের ভাল কলেজে ভর্তি ও লেখা পড়া প্রায় অনিশ্চিত হয়ে পরেছে। মেধাবী হওয়ায় স্কুলে তার কাছ থেকে লেখা-পড়ার টাকা নেওয়া হতনা।