শ্লীলতাহানির শিকার সেই শিক্ষিকা প্রশ্নবানে জর্জরিত হয়েছেন। সোমবার সকালে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার বিকাশ চন্দ্র সরকার ও অ্যাকাডেমিক সুপারভাইজার মাসুদ হোসেন সরেজমিন তদন্তে যান দেলুয়াবাড়ি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে। খোঁজখবর নিয়ে জানা গেছে, প্রধান শিক্ষক নীহার রঞ্জন রায়, শ্লীলতাহানির শিকার ওই শিক্ষিকা ছাড়াও বিদ্যালয়ের অন্যান্য শিক্ষক-কর্মচারী এবং ম্যানেজিং কমিটির সভাপতিসহ সদস্যদের সাথে কথা বলেছেন উত্থাপিত অভিযোগের বিষয়ে।
শ্লীলতাহানির শিকার শিক্ষিকা এ প্রতিবেদককে জানিয়েছেন, একটি পক্ষ প্রধান শিক্ষক নীহার রঞ্জনকে রক্ষার মিশনে মাঠে নেমেছেন। অভিযোগ করে এই শিক্ষিকা বলেন, মূল ঘটনা বাদ রেখে ওই পক্ষ আমাকে বিভিন্ন প্রশ্নেবানে জর্জরিত করেন। একপর্যায়ে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি অনিছুর রহমান তজু এবং প্রধান শিক্ষককে জঞ্জাল ছেটে ফেলার কথা বলেন। শিক্ষিকা আরও বলেন, সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের দৃষ্টিভঙ্গি নিরপেক্ষ না হলে ন্যায় বিচার পেতে প্রয়োজনে আদালতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত রয়েছে। নিজের সম্ভ্রম নিয়ে একজন নারী তার কর্মক্ষেত্রে থাকতে পারবেন না এটা কোন সমাজ মানবেনা।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার বিকাশ চন্দ্র সরকার এবং অ্যাকাডেমিক সুপারভাইজার মাসুদ হোসেন দেলুয়াবাড়ি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে যাওয়ার বিষয়ে প্রধান শিক্ষক নীহার রঞ্জনের ব্যক্তিগত মুঠোফোনে একাধিকবার চেষ্টা করলেও তিনি ফোনটি রিসিভ করেননি। তবে জানা গেছে, প্রধান শিক্ষক নীহার রঞ্জন নিজেকে রক্ষা করতে বিভিন্ন মহলে দৌড়ঝাঁপ অব্যহত রেখেছেন।
বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আনিছুর রহমান তজু বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, দুজন অফিসার আসছিলেন, আমি ব্যস্ত থাকার কারনেই তাদের সাথে বেশি সময় দিতে পারিনি।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার বিকাশ চন্দ্র সরকারের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, সরেজমিন খোঁজখবর নিয়ে উভয় পক্ষের লিখিত মতামত গ্রহন করেছি।
এদিকে ঘটনার পর বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মাঝে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। রোববার ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নীহার রঞ্জন তার অফিস কক্ষে সহকারি একজন শিক্ষিকার ওড়না ধরে টানাটানি করলে প্রধান শিক্ষক জুতাপিটার শিকার হন। সোমবার এ বিষয়ে মণিরামপুরে শিক্ষিকার হাতে প্রধান শিক্ষক লাঞ্ছিত শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হলে ব্যাপক তোলপাড়ের সৃষ্টি হয়।