বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসকে কারাগারে ডিভিশন দেওয়ার নির্দেশনা চেয়ে রিট দায়ের করা হয়েছে যার ওপর বুধবার আদেশের দিন নির্ধারণ করেছেন হাইকোর্ট। মঙ্গলবার বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি মোহামদ আলীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন সিনিয়র অ্যাডভোকেট এ জে মোহাম্মদ আলী, অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন, ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, ব্যারিস্টার বদরুদ্দোজা বাদল, ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল প্রমুখ। মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় মির্জা ফখরুলের স্ত্রী রাহাত আরা বেগম ও মির্জা আব্বাসের স্ত্রী আফরোজা আব্বাস এ রিট দায়ের করেন। মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাসকে বর্তমানে কেরাণীগঞ্জে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে রাখা হয়েছে। উল্লেখ্য, ডিভিশন যারা পেয়ে থাকেন তাদের আলাদা রুম বা সেলে রাখা হয়। সেখানে খাট, ভালো বিছানা, টেবিল, চেয়ারসহ কিছু সুবিধা দেওয়া হয়। এ ছাড়া তাদের খাবারও সাধারণ বন্দির চেয়ে কিছুটা ব্যতিক্রম। ডিভিশন পাওয়া বন্দিদের জন্য একজন করে সহকারী দেওয়া হয়। তারা সংশ্লিষ্ট বন্দির প্রয়োজনীয় কাজগুলো করে দেন। এ ছাড়া কারাগারের বাইরে থেকে স্বজনদের দেওয়া খাবার যাচাই-বাছাই করে তাদের দিয়ে থাকে কারা কর্তৃপক্ষ। সম্প্রতি দেশের বিভাগীয় শহরগুলোতে সমাবেশ করে বিএনপি। এরই ধারাবাহিকতায় ঢাকা বিভাগীয় সমাবেশের আগে গত ৭ ডিসেম্বর বিকালে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষ হয়। এতে একজন গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। আহত হন অনেকে। পরে বিএনপি কার্যালয়ে অভিযান চালানো হলে সেখানে অনেক ককটেল পাওয়ার কথা জানায় পুলিশ। এ ঘটনায় পল্টন থানার উপপরিদর্শক মিজানুর রহমান বাদী হয়ে গত ৭ ডিসেম্বর মামলা করেন। মামলায় ৪৭৩ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত দেড় থেকে দুই হাজার বিএনপির নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়। এ মামলায় মির্জা ফখরুল, মির্জা আব্বাসসহ বিএনপির শীর্ষ নেতাদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়। গ্রেপ্তার দেখানোর আগে ৭ ডিসেম্বর রাতে তাদের আটক করে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। ওই মামলায় গত ১২ ডিসেম্বর বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ ২২৪ নেতাকর্মীর জামিন নামঞ্জুর করেন আদালত। ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শফি উদ্দিনের আদালত এ আদেশ দেন।