নওগাঁর মহাদেবপুরে একটি ইটভাটায় পোড়ানোর জন্য কয়েক হাজার মণ কাঠকড়ি জমা করে রাখা হয়েছে। প্রকাশ্য দিবালোকে এসব জমা করে রাখা হলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এই ভাঁটা মালিকের বিরুদ্ধে কোনই ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি।
সরেজমিনে উপজেলার চাঁন্দাশ ইউনিয়নের চাঁন্দাশ গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, মহাদেবপুর-ছাতড়া পাকা সড়কের উত্তরপাশের্^ সড়ক সংলগ্ন বিশাল এলাকাজুড়ে ফসলী জমি নষ্ট করে ইটের বেড তৈরি করা হয়েছে। সারি সারি কাঁচা ইট তৈরী করে রোদে শুকাতে দেয়া হয়েছে এই বিশাল বেডে। বেডের চারিদিকে উঁচু স্তুপ করে রাখা হয়েছে কাঠখড়ি। স্থানীয়রা জানালেন, ইটভাটা মালিকের নিয়োগ করা কর্মচারীরা গ্রামে গ্রামে ঘুরে ফলন্ত গাছ কিনে সেগুলো কেটে এখানে এনে জমা করছেন। বেডের চারদিকে কয়েক হাজার মণ কাঠখড়ি জমা করে রাখা হয়েছে। এখানকার একজন শ্রমিক জানালেন বাগডোব এলাকায় এই মালিকের ইটের ভাঁটা রয়েছে। রোদে শুকানোর পর সেখানে এই কাঁচা ইটগুলো নিয়ে গিয়ে এসব কাঠখড়ি দিয়ে পোড়ানো হবে।
এখান থেকে এক কিলোমিটার পূবে বাগডোব-ছাতড়া সড়কের দক্ষিণ পাশের্^ চাঁন্দাশ ইউনিয়ন পরিষদ ভবনের অদূরেই পাওয়া গেল এই ইটভাটা। এটির নাম এসএমএস ব্রিকস। ভাঁটা এলাকাতেই ছিলেন এর ম্যানেজার বেলাল হোসেন। তিনি জানালেন এই ইটভাটার মালিক মান্দা উপজেলার ফেরিঘাট এলাকার মামুনুর রশিদ। এখানেও জমা করে রাখা হয়েছে সদ্য কাটা অসংখ্য গাছের গুল। ম্যানেজার জানান, চাঁন্দাশ এলাকায় তাদেরই কাঁচা ইট তৈরী করে শুকানো হচ্ছে এবং সেখানে জমা করে রাখা কাঠগুলো তাদেরই। তবে সেখানে কয়েক হাজার মণ নয়, বরং এক হাজার মণ কাঠ রয়েছে বলে তিনি জানান। এসব কাঠ এই ভাটায় ইট পোড়ানোর কাজে ব্যবহার করা হবে বলেও তিনি জানান। গত কয়েকবছর ধরে এভাবেই চলছে এই ভাটা। তবে কাঠখড়ির সাথে কয়লাও পোড়ানো হয়। ইটভাটায় কাঠ পোড়ানো নিষিদ্ধ জেনেও তারা কাঠ পোড়াচ্ছেন বলে তিনি স্বীকার করেন।
বিষয়টি জানতে ভাঁটা মালিকের মোবাইলফোনে বার বার রিং দিলেও তিনি তা রিসিফ করেননি।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবু হাসান জানান, এই উপজেলার সবকটি ইটভাটাই অবৈধ। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। নওগাঁ জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মলিন মিয়া জানান, মহাদেবপুরের কোন ইটভাটারই পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র নেই। ইটের ভাটায় কাঠ পোড়ালে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।