যশোরের ঝিকরগাছায় ফুলের বাজার মন্দা হওয়ায় ফুল চাষীদের মন খারাপ। ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসকে সামনে রেখে ঝিকরগাছার গদখালী ফুলের পাইকারি হাটে এবার মন্দাভাব বিরাজ করেছে। এ কারণে ফুল চাষীদের মন খারাপ বলে জানিয়েছেন তারা।
১৫ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৭ টার দিকে গদখালী ফুলের পাইকারি হাটে ফুলের আমদানি দেখা যায় প্রচুর। তারপরও ফুল চাষীরা গত বছরের তুলনায় এ বছর ফুলের দাম কম পাওয়ায় তাদের মন খারাপ। বিভিন্ন চাষীদের সাথে আলাপে তারা জানিয়েছেন - রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা, কৃষি সামগ্রীসহ দ্রব্য মূল্য বৃদ্ধির কারণে ফুলের পাইকারি হাটে মন্দাভাব দেখা দিয়েছে। তারা আরও জানিয়েছেন - অর্থনৈতিক স্বচ্ছলতা থাকলে সৌখিনতা আসে, সে কারণেই ফুলের চাহিদা কম হওয়ায় এবারের ফুলের বাজার মন্দাভাব রয়েছে।
ফুলের পাইকারি বাজার ঘুরে জানা গেছে - গোলাপ প্রতি শ' ২৫০ - ৩৫০ টাকা, রজনীগন্ধা ২৫০ - ৩০০ টাকা, গ্লাডিউলাস ( পিংক ১ হাজার ১০০ টাকা, সিঁদুর ৪০০ - ৪৫০ টাকা, জাম ৪০০ - ৫০০ টাকা, সাদা ৬০০ - ৮০০ টাকা), জারবেরা ৬০০ - ৭০০ টাকা, চন্দ্রমল্লিকা ৭০ টাকা, গাঁদাফুল প্রতি হাজার ১০০ - ১৬০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।
হাড়িয়া গ্রামের জারবেরা ফুলচাষী শুকুর আলী জানান - রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার কারণে ফুলের বাজার মন্দাভাব দেখা দিয়েছে। পটুয়াপাড়ার ফুলচাষী সহিদুল ইসলাম জানান- গত বছরে প্রতি শ' গোলাপ বিক্রি করেছিলাম ৪০০ - ৫০০ টাকায়, বৃহস্পতিবার বিক্রি করলাম ২৫০ - ৩০০ টাকায়। হাড়িয়া গ্রামের ফুলচাষী তারেক হোসেন জানান - গত বছরের তুলনায় কম দামে এ বছর প্রতি হাজার গাঁদাফুল বিক্রি করেছি ১৬০ টাকায়। তিনি বলেন - সার, কীটনাশকসহ সকল জিনিসের দাম বেড়ে গেছে। এজন্যই ফুলসহ বিলাসী জিনিসের দাম কমেছে। সাতক্ষীরা, জামালপুর, মেহেরপুর, ময়মনসিংহ, কুষ্টিয়া, রংপুর, সরিষাবাড়ি সহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ফুল সরবরাহকারী ফুল ব্যবসায়ী গদখালীর বাবু পাড়ার সাঈদ আহমেদ জানান - বিজয় দিবসের ফুলের কেনাবেচা ১৩,১৪,১৫ ডিসেম্বর শেষ হয়ে যায়। অর্থনৈতিক মন্দাভাবের কারণেই ফুলের চাহিদা কমেছে। সে কারণেই ফুল চাষীদের এবার মন খারাপ। বাংলাদেশ ফ্লাওয়ার সোসাইটির সভাপতি আবদুর রহিম জানান - গতি বছরের তুলনায় এ বছর ফুলের বাজার মন্দাভাব হওয়ায় ফুলচাষীদের মন বেজায় খারাপ।
ঝিকরগাছা উপজেলা কৃষি অফিসার মাসুদ হোসেন পলাশ বলেন- ফুলের উৎপাদন বৃদ্ধি পাওয়ায় চাহিদা কমেছে, এজন্য কিছুকিছু ফুলের মূল্যও কমতে পারে।