চলতি রবি মৌসুমে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার ৭ হাজার ৪৭৫ জন কৃষক রবি প্রনোদনা পেয়েছেন। উপজেলার ১৫ ইউনিয়নের ৬ ইউনিয়ন তিস্তানদীর তীরবর্তী হওয়ায় শত শত হেক্টর জমি রয়েছে চরাঞ্চলে। চরাঞ্চলে রবি মৌসুম যেন রবি ফসলের সমারোহে দৃশ্যমান হয়। এ ছাড়া অন্যান্য ইউনিয়নগুলোতেও ব্যাপক হারে রবি ফসল উৎপাদন লক্ষ্যণীয়। উৎপাদন ও দাম ভালো পাওয়ায় চলতি বছর কৃষক রবি ফসলের প্রতি ঝুকে পড়েন এরই প্রেক্ষিতে সরকারি ভাবে উপজেলার ৭ হাজার ৪৭৫ জন কৃষককে রবি প্রনোদনার আওতায় তালিকা ভুক্ত করা হয়। এদের মাঝে বিতরণ করা হয় বীজ। এর মধ্যে রয়েছে শাক-সবজি গম, ভুট্টা, সরিষা, বাদাম, সূর্য্যমুখি, পেঁয়াজ, মুসুর ডাল, মুগডাল ও সোয়াবিন। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, রবি প্রনোদনা হিসেবে কৃষকদের মাঝে বিতরণকৃত সংখ্যা শাক-সবজি ১৫০০,গম ১৪৫০, ভুট্টা ৮৩০, সরিষা ৩৩০০, বাদাম ৭৫, সূর্য্যমুখি ১৬০, পেঁয়াজ ৪০, মুসুর ৫০, মুগ ৫০ ও সোয়াবিন ২০ জন। কৃষকদের মাঝে বিতরণকৃত প্রনোদনার বীজ দিয়ে যথাক্রমে ৭৪৪ হেক্টর শাক-সবজি, গম ৯৮০ হেক্টর, ভুট্টা ৪০৪৮ হেক্টর, সরিষা ২২২৭ হেক্টর, বাদার ১১৭ হেক্টর, সূর্য্যমুখি ১২৬ হেক্টর, পেঁয়াজ ৫৮৬ হেক্টর, মুসুর ৭১ হেক্টর, মুগ ২১ হেক্টর ও সোয়াবিন ৮ হেক্টর চাষ করা হয়েছে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রাশেদুল ইসলাম জানান, রবি প্রনোদনা হিসেবে বিতরণকৃত বীজ যথাসময়ে বুনন করা হয়েছে এবং কোন প্রাকৃতিক দূর্যোগ দেখা না দিলে চলতি রবি মৌসুমে এ উপজেলায় রবি ফসলের সমারোহ হতে পারে দেখার মত। এতে করে লাভবান হবে কৃষকরা।