বাগেরহাটে নানা কর্মসূচীর মধ্যদিয়ে স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী ও মহান বিজয় দিবস পালিত হচ্ছে। শুক্রবার সকালে বাগেরহাট শহরের দশানী মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিস্তম্ভে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্যে দিয়ে দিনটির শুভ সূচনা হয়। প্রথমেই বাগেরহাটের জেলা প্রশাসন মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে। পরে পুলিশ সুপারসহ সরকারি প্রতিষ্ঠান, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, শ্রমিকলীগসহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংষ্কৃতিক সংগঠন শহীদদের ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করে। এ সময় বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আজিজুর রহমান, পুলিশ সুপার কে এম আরিফুল হকসহ প্রশাসনের কর্মকর্তা ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীতে বাংলাদেশের অনেক অর্জন রয়েছে। দেশ আজ উন্নয়নের মহাসড়কে রয়েছে। শিক্ষা, গ্রাম গঞ্জের রাস্তাঘাটের অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে। উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে পারলে বঙ্গবন্ধু যে শোষণমুক্ত সোনার বাংলা বিনির্মানের স্বপ্ন দেখতেন তা বাস্তবায়ন হবে।
এছাড়াও বিজয় দিবসে হাসপাতাল, শিশু সদন ও কারাগারে উন্নতমানের খাবার পরিবেশন করা হবে। বিজয় দিবস উপলক্ষে বাগেরহাটের সব সরকারি, আধা সরকারি ও শায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠানে আলোকসজ্জ্বা করা হয়েছে।
অপরদিকে মোরেলগঞ্জে মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিস্তম্ভে শ্রদ্ধা নিবেদনের মধ্য দিয়ে ৫২তম মহান বিজয় দিবসের কর্মসূচি শুরু হয়েছে। শুক্রবার সকাল পৌনে ৭ টায় উপজেলা পরিষদ, উপজেলা প্রশাসন, থানা পুলিশ, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড, পৌরসভা, প্রেস ক্লাব, ফায়ার সার্ভিস, মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ড, উপজেলা স্কাউটস স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করে।
উপজেলা চেয়ারম্যান অ্যাড. শাহ্-ই-আলম বাচ্চু, নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর আলম, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মো. লিয়াকত আলী খান, ডা. কামাল হোসেন মুফতি, ভাইস চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হক, ফাহিমা ছাবুল, স্কাউট কমিশনার হোসনেয়ারা হাসিসহ সরকারি বেসরকারি সকল দপ্তর ও প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
এ ছাড়াও সরকারি সিরাজ উদ্দিন মেমোরিয়াল কলেজ, সরকারি বালিকা বিদ্যালয়, রওশর আরা মহিলা ডিগ্রী কলেজ, জাতীয়তাবাদী দল(বিএনপি) টাউন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পক্ষ হতে মুক্তিযুদ্ধা স্মৃতিস্তম্ভে মাল্যদান করেন।
দিবসটি উপলক্ষে উপজেলা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, শ্রমিক লীগ, উপজেলা হাসপাতাল ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো পৃথক পৃথক কর্মসূচি পালন করছে।