পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় হোটেল ঝিলিক নামের একটি আবাসিক হোটেল থেকে অজান্তা বেগম নামের এক নারী পর্যটকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
শনিবার সকাল দিকে ওই নারীর অবস্থানকৃত রুম চেক আউটের জন্য ডাকাডাকি করলে কোনো সাড়াশব্দ না পাওয়ায় হোটেল কর্তৃপক্ষ পুলিশকে খবর দেয়। পরে পুলিশ এসে দরজা ভেঙে ওই পর্যটককে হোটেলের সিলিংয়ের সাথে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করে।
হোটেল সূত্রে জানা যায়, গত ১৬ই ডিসেম্বর সকাল ৬টায় কুয়াকাটায় ঘুরতে এসে স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে সুজন (৩২) ও অজান্তা বেগম নামের দুজন পর্যটক হোটেল ঝিলিকের ২০৪ নাম্বার রুম ভাড়া নেয়। পরে গতকালকে সারাদিন তারা হোটেল অবস্থান সহ বাহিরেও ঘোরাঘুরি করে বলে জানায় তাঁরা। স্বামী পরিচয় দেয়া সুজন পটুয়াখালীর বাউফল সদরের রফেজ সিকদার ও আমেনা বেগমের ছেলে বলে হোটেলের রেজিষ্ট্রারে উল্লেখ রয়েছে।
হোটেল ঝিলিকের মালিক লিয়াকত আলী জানান, আজকে সকাল ১০টায় হোটেল চেক আউটের সময় হলে তাঁদেরকে ফোন দেয়া হয়। ফোনে না পেয়ে রুমে ডাকাডাকি করলে কোনো সাড়াশব্দ পওয়া যায়নি। রুম ভিতর থেকে তালা লাগানো থাকায় আমরা সাথে সাথে পুলিশকে খবর দেই পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে।
মহিপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) হাফিজুর রহমান জানান, খবর পেয়ে আমরা ঝুলন্ত অবস্থা থেকে এই নারী পর্যটকের লাশ উদ্ধার করেছি তবে স্বামী পরিচয় দেয়া সুজনকে পাওয়া যায়নি। ওইরুম থেকে আলামত হিসাবে একটি স্মার্ট ফোন, একটি জামাকাপড়ের ব্যাগ জব্দ করা হয়েছে। তবে হোটেল রেজিষ্ট্রিকৃত নাম পরিচয় নিয়ে আমরা তাদের সনাক্তের চেষ্টা করছি। লাশটিকে ময়না তদন্ত শেষে আইনানুগ ব্যবস্থ নেয়া হবে।