রাজশাহীর পুঠিয়ায় পৌর মেয়র আল মামুন খান বরখাস্ত হওয়ার চারদিন অতিবাহিত হলেও অজ্ঞাত কারণে প্যানেল মেয়রকে দায়িত্ব বুঝিয়ে না দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। কাউন্সিলররা বলছেন,বরখাস্ত হওয়ার বিষয়টি গোপন রেখে সহকারী প্রকৌশলী ও প্রশাসনিক কর্মকর্তা নিয়মভর্হিভুত ভাবে মেয়রকে ২২ দিন দায়িত্ব পালন করার সুযোগ করে দিয়েছেন। এ সময়ের মধ্যে বিভিন্ন বিল ভাওচার বাবদ ৩২ লাখ টাকা লেন-দেন করেছেন। আর তাদের অনিয়মগুলো ঢাকতে প্যানেল মেয়রকে দায়িত্ব বুঝিয়ে দিতে এই দুই কর্মকর্তা গড়িমসি শুরু করছে। প্যানেল মেয়র ও কাউন্সিলর কামাল হোসেন বলেন, নিয়মানুসারে কোনো কারণে,মেয়রের অনুপস্থিতিতে ১ন প্যানেল মেয়র দায়িত্ব পালন করবেন। তবে এখানে সহকারি প্রকৌশলী ও ভারপ্রাপ্ত সচিব শহিদুল ইসলাম ও প্রশাসনিক কর্মকর্তা এ কে ফজলুল হক টুটুল সেই দায়িত্ব দিতে বিভিন্ন তালবাহানা শুরু করেছেন। তিনি বলেন, তাদের মদদে মেয়র বরখাস্ত হওয়ার পরও ২২ দিন দায়িত্ব পালন করেছেন। এ সময় তাদের যোগসাজসে পৌরসভার মোটা অংকের অর্থ নয়-ছয় করার সম্ভবনা রয়েছে। আর সেইজন্য তারা নানা অযুহাতে প্যানেল মেয়রকে দায়িত্ব বুঝিয়ে দিচ্ছেন না। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক কাউন্সিলরা বলেন,পৌরসভার নাটের গুরু সহকারী প্রকৌশলী শহিদুল ইসলাম এবং প্রশাসনিক কর্মকর্তার সহযোগিতায় একটি সিন্ডাকেট চক্র গড়ে তুলেছেন। আর পৌরসভা গঠনের ২১ বছরের মধ্যে ২০ বছর যাবত শহিদুল ইসলাম এখানে কর্মরত রয়েছেন। তিনি নানা অনিয়ম ও দুর্নীতি করে অঢেল টাকার সম্পত্তি গড়ে তুলেছেন। যা সঠিক তদন্ত করলে পাওয়া যাবে। তার বিরুদ্ধে কাউন্সিলর শফিকুল ইসলাম রুহুল সম্প্রতি বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। তবে এ বিষয়ে প্রশাসনিক কর্মকর্তা একে ফজলুল হক টুটুলের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি কোনো বক্তব্য দেবেন না বলে জানান।
এ ব্যাপারে সহকারী প্রকৌশলী ও ভারপ্রাপ্ত সচিব শহীদুল ইসলাম বলেন, গত ১৪ তারিখে আমরা চিঠি পেয়েছি। আর চিঠি পাওয়ার পর ওই দিনই মেয়র দায়িত্ব ছেড়ে দিয়েছেন। প্যানেল মেয়রকে দায়িত্ব না দেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ১৬ ডিসেম্বের কারণে,সকল কাউন্সিলরদের ডাকা হয়নি। আগামীতে যে কোনো দিন, সকলকে ডেকে প্যানেল মেয়রকে দায়িত্বব বুঝিয়ে দেওয়া হবে। আর তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন দপ্তরে অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটা আমার বিরুদ্ধে একটা ষড়যন্ত্র।