কালিগঞ্জের কৃষ্ণনগর ইউপি চেয়ারম্যান সাফিয়া পারভীনের বিরুদ্ধে সরকারের বরাদ্দকৃত দরিদ্র বিধবা, বয়স্ক ও প্রতিবন্ধী ভাতার কার্ড দেয়ার নামে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় এলাকাবাসী উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
উপজেলার কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের পূর্ব কালিকাপুর গ্রামের শাহ আলমের ছেলে সাইদুল ইসলাম, মৃত বছির ঢালীর ছেলে আয়ূব আলী, রেজাউল করিমের ছেলে ইকবাল, একই গ্রামের খাদিজা, ইমান আলী, মনোয়ারা খাতুন, ফরিদা খাতুন, রহিমা খাতুনসহ আরও কয়েকজন লিখিত অভিযোগে জানান, ইউপি চেয়ারম্যান সাফিয়া পারভীন তার অনুসারী পূর্ব কালিকাপুর গ্রামের মৃত নছির উদ্দীন বিশ^াসের ছেলে রেজাউল করিমের মাধ্যমে বিধবা, বয়স্ক ও প্রতিবন্ধী ভাতা’র কার্ড প্রদানের আশ^াসে জনপ্রতি ২/৩ হাজার টাকা উৎকোচ নিয়েছেন। তারা আরও জানান, ২০২১ সালে ইউপি নির্বাচনের পূর্বে বর্তমান চেয়ারম্যান সাফিয়া পারভীন নির্বাচনে জয়লাভ করার লক্ষ্যে সরকারি বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা ও কার্ড দেয়ার নামে ইউনিয়নের দরিদ্র ব্যক্তিদের থেকে টাকা নেন। পরবর্তীতে সাফিয়া পারভীন ইউপি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলে পূর্বের প্রতিশ্রুতি মোতাবেক ভাতার কার্ড চাইলে তিনি নানা প্রকার টালবাহানা শুরু করেন এবং উৎকোচের টাকা দেয়া সত্ত্বেও শেষ পর্যন্ত তারা কার্ড পাওয়া থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। এখন প্রদানকৃত টাকা ফেরত চাইলে ইউপি চেয়ারম্যান টাকা দিতে অস্বীকার করার পাশাপাশি তার পোষা গুন্ডাদের দ্বারা নানা প্রকার ভয়ভীতি ও হুমকি প্রদর্শন করেন। প্রদানকৃত কষ্টার্জিত অর্থ ফেরত পাওয়ার পাশাপাশি যাতে সুষ্ঠু প্রক্রিয়ায় প্রকৃত দরিদ্ররা ভাতার কার্ড ও সরকারি সুযোগ সুবিধা পান সে ব্যাপারে ভুক্তভোগীরা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট দাবি জানিয়েছেন। এছাড়াও বিষয়টি সুষ্ঠু প্রতিকারের আশায় উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সাঈদ মেহেদী, কালিগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি শেখ আবদুল হামিদ ্ও সাধারণ সম্পাদক শেখ শাওন আহমেদ বরাবর অনুলিপি প্রদান করেছেন তারা। অভিযোগের বিষয়ে জানার জন্য ইউপি চেয়ারম্যান সাফিয়া পারভীনের মুঠোফোনে যোগাযোগ করেও তাকে পাওয়া যায়নি।