দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পরে সুন্দরবনে আবারো এক ডাকাত দলের তৎপরতা শুরু হয়েছে। গত ১৫ ডিসেম্বর ১ লাখ টাকা মুক্তিপনের দাবীতে ১০ জেলেকে অপহৃরন করেছে অজ্ঞাত পরিচয়ের শসস্ত্র একটি ডাকত দল। এ সময় জেলেদের কাছ থেকে প্রায় সাতমন কাকড়া, প্রায় ২০টি মোবাইল ফোন ও দুটি জেলেনৌকা নিয়ে যায় তারা। শনিবার রাতে (১৭ ডিসেম্বর) অপর জেলেরা বাড়ি ফিরে আসলে এ খবর জানা যায়। এক সপ্তাহের মধ্যে মুক্তিপনের টাকা পরিশোধ করা না হলে জেলেদের হত্যা করা হবে। এ ঘটনায় জেলে পরিবারের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
ডাকাতদের হামলার ভয়ে নাম প্রকাশ না করার শর্তে ফিরে আসা জেলেরা জানান, র্প্বূ সুন্দরবনের চাঁদপাই, জিউধারা ও ধানসাগর স্টেশন থেকে পারমিট নিয়ে বনের বেড়ীর খাল এবং অরমাল খালে রাতে ৮-১০টি নৌকায় কাকড়া শিকার করছিলেন তারা। এ সময় নয়জনের একটি ডাকাত দল আগ্নেআস্ত্র নিয়ে অকর্ষিকভাবে তাদের উপর হামলা চালায়। ডাকাত দল জেলেদের কাছে থাকা মোবাইল ফোন, নগদ টাকা ও তাদের শিকার করা কাকড়াসহ দুইটি নৌকা ছিনিয়ে নেয়। এরপর মাথাপিছু ১০ হাজার টাকা মুক্তিপনের দাবীতে ১০জন জেলেকে অপহরণ করে নিয়ে যায় তারা। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে টাকা নিয়ে যোগাযোগ না করলে অপহৃত জেলেদের হত্যা করা হবে বলে ডাকাতরা হুমকি দেয়। অপহৃত জেলেদের মধ্যে থেকে তিন জনের নাম জানাগেছে। এরা হচ্ছে, মোরেলগঞ্জ উপজেলার জিউধরা গ্রামের আসাদুল হাওলাদার (৩৫), ডৌয়াতলা গ্রামের হানু (৪৫) ও বাগেরহাটের ডেমা এলাকার সোহেল (৩৫)। অপহৃত জেলেদের পরিবারের মধ্যে চরম উৎকণ্ঠা বিরাজ করছে।
এব্যপারে বন বিভাগের ধানসাগর স্টেশন কর্মকর্তা আবদুস ছবুর বলেন, জেলেদের মাধ্যমে তারা ডাকাতির খবর জেনেছেন। চাঁদপাই রেঞ্জ কর্মকর্তা মোঃ শহিদুল ইসলাম বলেন, ডাকাতির বিষয়টি খোঁজ খবর নিয়ে ব্যাবস্থা নেয়া হবে। কোস্টগার্ড পশ্চিম জোনের গোয়েন্দা কর্মকর্তা লেপ্টেন্যান্ট কমান্ডর মামুনুর রহমান বলেন, এব্যপারে জেলেদের সাথে কথা বলে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। সুন্দরবনে কোন প্রকার ডাকাতদের তৎপরতা চালাতে দেবে না কোস্টগার্ড।