উত্তরাঞ্চলের মধ্যে পেঁয়াজ আবাদে খ্যাত পাবনার সুজানগরের হাট-বাজারে উঠতে শুরু করেছে আগাম আবাদ করা (মূলকাটা) পেঁয়াজ। তবে হাট-বাজারে আগাম ওই পেঁয়াজের বাজার মন্দা হওয়ায় পেঁয়াজ চাষীরা হতাশ হয়ে পড়েছেন।
উপজেলা কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা যায়, এ বছর উপজেলার ১০টি ইউনিয়নে আগাম আবাদ করা (মূলকাটা) পেঁয়াজের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ১৫‘শ ৫০হেক্টর জমিতে। কিন্তু আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় আবাদ হয়েছে ১৬‘শ ৫০হেক্টর জমিতে যা, লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৫০হেক্টর বেশি। ইতোমধ্যে উপজেলার হাট-বাজারে ব্যাপকভাবে ওই পেঁয়াজ উঠতে শুরু করেছে। উপজেলার চরভবানীপুর গ্রামের কৃষক নূরু শেখ বলেন সাধারণত ডিসেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে আগাম আবাদ পেঁয়াজ উঠানো শুরু হয়। তবে এ বছর পেঁয়াজ চাষীরা মৌসুমী পেঁয়াজের লোকসান পোষানোর আশায় আগেভাগে জমি থেকে ওই পেঁয়াজ উঠানো শুরু করেন। কিন্তু হাট-বাজারে আগাম আবাদ করা পেঁয়াজের বাজার একদম মন্দা। উপজেলার চরসুজানগর গ্রামের পেঁয়াজ চাষী আফতাব হোসেন বলেন এ বছর ১মণ আগাম (মূলকাটা) পেঁয়াজ আবাদ করতে সার, বীজ ও শ্রমিকসহ উৎপাদন করা খরচ হয়েছে প্রায় ১১‘শ টাকা। অথচ বর্তমানে হাট-বাজারে প্রতিমণ আগাম আবাদ করা পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৮‘শ থেকে সাড়ে ৮‘শ টাকা। ফলে পেঁয়াজের বর্তমান এ বাজারে পেঁয়াজ চাষীদের উৎপাদন খরচই উঠছেনা। এতে পেঁয়াজ চাষীরা হতাশ হয়ে পড়েছেন। এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ রাফিউল ইসলাম বলেন একখও হাট-বাজারে প্রচুর পরিমাণে মৌসুমী পেঁয়াজ আমদানি হচ্ছে। সেকারণে আগাম আবাদ করা পেঁয়াজের বাজার মন্দা।