আশাশুনি উপজেলার কাদাকাটি ইউনিয়নে ভিটেবাড়ির জমি জবর দখল ও মৎস্য ঘেরের বাসায় আগুন লাগানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে। শনিবার সকালে ও রাতে ইউনিয়নের মিত্র তেঁতুলিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে।
মিত্র তেতুলিয়া গ্রামের নজব আলির ছেলে আকবর ও স্থানীয়রা জানান, স্লুইচ গেট দেখাশুনার জন্য ইউপি চেয়ারম্যান তাকে দায়িত্ব দিয়েছেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে প্রতিপক্ষের ঈন্ধনে স্থানীয় মৃত মহম্মদ গাজীর ছেলে হায়দার গাজীর নেতৃত্বে শনিবার সকালে তাদের ভিটেবাড়িতে জমি পাওনা আছে দাবী করে মাটির কাজ করতে শুরু করে। জমি পাওনা থাকলে মাপজোক করে দেখ পেলে দিয়ে দেব বললেও তারা থামেনা। বিষয়টি ইউপি চেয়ারম্যানকে জানালে তিনি গ্রাম পুলিশ পাঠিয়ে যে পর্যন্ত কাজ হয়েছে বন্ধ রাখতে বলে আসেন। কিন্তু তারা চেয়ারম্যানের আদেশ অমান্য করে সেখানে ঘেরাবেড়া দিয়ে জবর দখল করে। এদিন রাতে আকবরের মৎস্য ঘেরের বাসায় আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। দেখতে পেয়ে পাশের মহসিন সরদার, মহসিন সরদারের স্ত্রী মাজিদা, পুত্র বাদশাসহ অনেকে পানি দিয়ে নিভিয়ে ফেললেও অনেককিছু পুড়ে যায়। আকবর জানান, এ সময় আগুন লাগাতে আসা ব্যক্তিরা তার ঘেরের বাসায় থাকা ৪০ হাত মুখের বেহুদ্দি জাল, ঘেরে জাল টেনে ছাটি ও সাদা মাছ চুরি করে নিয়ে গেছে। এরিপোর্ট লেখা পর্যন্ত জানাগেছে, তাদের ক্ষয়ক্ষতির খবর সাংবাদিকদের কাছে জানানোর অপরাধে বিকালে প্রতিপক্ষ তাদের উপর আক্রমণ চালিয়ে গুরুতর আহত করেছে বলে আকবর জানান।
ইউপি চেয়ারম্যান দিপংকর সরকার দিপ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, এলাকার শান্তিপ্রিয় মানুষ তাদের ভয়ে ভীত সন্ত্রস্থ হয়ে পড়েছে। জমি জবরদখল, ঘেরের বাসায় আগুন দেয়া এবং পুনরায় মারপিট করা হয়েছে বলে তিনি জেনেছেন এবং শনিবার সকালে ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা তদন্তে আসলে সেখানেও বাদীকে মারপিট করা হয়েছে। বাদী এখন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। বিষয়টি আশাশুনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে অবহিত করা হয়েছে বলে তিনি জানান।
আশাশুনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মমিনুল ইসলাম জানান, মিত্রতেতুলিয়ায় সংঘর্ষের খবর তিনি শুনেছেন। সেখানে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। ফিরলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি জানান।