ওয়ার্ডের অলিগলি ছেয়ে গেছে প্রার্থীদের পোস্টারে। বেলা ২টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত চলছে বিরামহীন মাইকিং। সমানে চলছে প্রার্থীদের গণসংযোগ। এ নির্বাচনকে সমানে রেখে প্রচারণায় সরগরম হয়ে উঠেছে। চায়ের কাপেও ঝড় তুলছেন ভোটাররা। করছেন নানা হিসাব-নিকাশ। ইভিএমের মাধ্যমে ২৯ ডিসেম্বর রাজশাহীর বাঘা পৌরসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
নির্বাচনের প্রার্থীরা সকাল থেকে রাত পর্যন্ত মেয়র, সাধারণ ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত নারী ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থীরা বিরামহীনভাবে চালাচ্ছে গণসংযোগ। ভোটাররাও উপভোগ করছেন নির্বাচনী আমেজ।
ভোটাররা বলেন, নির্বাচনে এমন প্রার্থীকে ভোট দেব, যিনি এলাকার স্থিতিশীল পরিবেশ রক্ষায় ভূমিকা রাখতে পারবেন। ভোটাররা শান্তিতে ঘরে বসবাস করার নিশ্চয়তা চাই। প্রার্থীরা নির্বাচনের আগে যে প্রতিশ্রুতি দেন, নির্বাচনের পর সেই প্রতিশ্রুতি ভুলে যান। তাঁরা নিজের স্বার্থ রক্ষায় সাম্প্রদায়িক উসকানিদাতাদের সঙ্গে হাত মেলাতেও কুণ্ঠাবোধ করেন না। ফলে তাদের ভোট দেবেন না ভোটাররা।
এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের নৌকার মনোনীত প্রার্থী ও উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম সম্পাদক শাহিনুর রহমান পিন্টু বলেন, ভোট গ্রহনের তারিখ এগিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে নির্বাচনী প্রচারণা তুঙ্গে হয়ে উঠেছে। রাত-দিন কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে ভোট চেয়ে ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে ঘুরে বেড়াচ্ছি।
আমার সমর্থিতদের মধ্যে কেউ নিজের, কেউ দলীয় কিংবা পারিবারিক সুনাম কাজে লাগিয়ে ভোটারদের মন জয় করার চেষ্টা করছি। পোরসভার প্যানেল মেয়রের দায়িত্ব পালনকালে আমি উন্নয়নমূলক কর্মকা- করেছি, সেগুলো ভোটারদের মনে করে দিচ্ছে।
আওয়ামীলীগ সরকারের বিভিন্ন সফলতার চিত্র তুলে ধরে ভোটারদের বাড়ি বাড়ি যাচ্ছি। দলীয় প্রার্থী হিসেবে বিজয় হবেন বলে আশা করছেন তিনি। এ ছাড়া সব জায়গায় যাওয়ার চেষ্টা করছি। ভোটারদের সাড়া পাচ্ছি। জয়ের ব্যাপারে আমি শতভাগ আশাবাদী।
স্বতন্ত্র প্রার্থী রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও সাবেক মেয়র আক্কাছ আলী (জগ) প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করছেন। তিনি বলেন, আমি পৌরসভার মেয়র ছিলাম। বিগত সময়ে সকল শ্রেণি পেশা মানুষের পাশে ছিলাম। পৌরবাসি আমাকে ভালবাসে। রাত-দিন কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে ভোট চেয়ে ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে ঘুরে বেড়াচ্ছি। মানুষের ভালবাসা থেকে নির্বাচন করছি। আশা করছি বিজয়ী হবো।
এদিকে বাঘা পৌর বিএনপির সভাপতি কামাল হোসেন (কম্পিউটার) প্রতীক নিয়ে বিএনপির একক প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করছি। বিএনপি দলীয়ভাবে প্রার্থী না দিলেও স্থানীয়ভাবে নেতাকর্মিরা আমাকে সমর্থন দিয়ে মাঠে কাজ করে যাচ্ছেন। সুষ্ট নির্বাচন হলে বিজয়ী হবো।
বাঘা পৌর জামায়াতের আমির সাইফুল ইসলাম (নারিকেল গাছ) প্রতিক নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করছি। পৌর জামায়াতের নেতাকর্মিসহ সাধারণ মানুষের সমর্থনে ভোট করছি। সুষ্ঠ ভোট হলে বিজয়ী হব বলে আশা। এদিকে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ইসরাফিল হোসেন (মোবাইল ফোন) প্রতীক নিয়ে এ নির্বাচনে বিজয়ের ব্যাপারে আশাবাদী।
বাঘা উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মুজিবুল আল জানান, বাঘা পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৫ জন। সাধারণ ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থী ৩৬ জন ও সংরক্ষিত নারী ওয়ার্ড কাউন্সিল প্রার্থী ১৩ জন। মোট ভোটার সংখ্যা ৩১ হাজার ৬৬৯। এরমধ্যে পুরুষ ১৫ হাজার ৮১২ ও নারী ১৫ হাজার ৮৫৭ জন। ইভিএমের মাধ্যমে ১১টি কেন্দ্রে ভোট গ্রহন অনুষ্ঠিত হবে।