নোয়াখালীর সেনবাগে মারজাহান আক্তার প্রকাশ নাসরিন (১৯) নামের এক গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করেছে সেনবাগ থানা পুলিশ। রোববার রাতে পুলিশ উপজেলার ছাতারপাইয়া বাজারের একটি বেসরকারি হাসপাতাল থেকে ওই গৃহ বধূর লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য সোমবার দুপুরে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করে। এ ঘটনায় নিহত গৃহবধূর পিতা আবুল হোসেন বাদী হয়ে দাবীকৃত যৌতুক না পেয়ে তার মেয়েকে হত্যার অভিযোগে নিহতের স্বামী, শাশুড়ি ও ভাসুর সহ ৫জনের বিরুদ্ধে আত্মহত্যা প্ররোচনার মামলা দায়ের করেছে। ঘটনার পর থেকে নিহতের স্বামী ,শাশুড়ি ও ভাসুর পলাতক রয়েছে।
নিহত গৃহবধূ মারজাহান আক্তার নাসরিন সেনভাগ উপজেলার ১নং ছাতারপাইয়া ইউনিয়নের ৪নম্বর ওয়ার্ডের পশ্চিম ছাতারপাইয়া গ্রামের মোঃ জহিরের স্ত্রী ও সোনাইমুড়ী উপজেলার ৪নং বারোগাঁও ইউপির কাশিপুর গ্রামের মাইদের বাড়ির মোঃ আবুল হোসেনের মেয়ে।
নিহতের পিতা আবুল হোসেন জানায় বিগত ৩বছর আগে তার মেয়ে মারজাহান আক্তার নাসরিনকে সেনবাগ উপজেলার ১নং ছাতারপাইয়া ইউনিয়নের ৪নম্বর ওয়ার্ডের পশ্চিম ছাতারপাইয়া গ্রামের মোঃ জহিরের সঙ্গে বিয়ে দেন। বিয়ের পর থেকে শ্বশুর বাড়ির লোকজন তার মেয়ের নিকট মোটা অংকের যৌতুক দাবী করে আসছিলো। কিন্তু তিনি দাবীকৃত যৌতুক দিতে অসামথ্য থাকার কারণে নাসরিন পিতার বাড়ি থেকে যৌতুকের টাকা এনে দিতে অস্বীকার করায় শ্বশুড় বাড়ির লোকজন তাকে বিভিন্ন সময় মারধর করতো। রোববার বিকেলে ফের মেয়ের জামাই মোঃ জহির আহাম্মেদ (২৯), শ্বাশুড়ী জরিনা বেগম (৪৫) ও ভাসুর মোঃ উসমান (৩২)সহ অজ্ঞাত ২/৩জন মিলে তার মেয়েকে মারধর করে হত্যা করে। পরবর্তীতে রোববার বিকেলে নাসরিনের শ্বশুর বাড়ি থেকে নাসািরনের মা পান্না আক্তারের মুঠোফোনে কল দিয়ে বলে নাসরিন আত্মহত্যা করেছে সে বর্তমানে হাসপাতালে আছে। একথা বলে নাসরিনের লাশ হাসপাতালে রেখে শ্বশুড় বাড়ির লোকজন পালিয়ে য়ায়। এরপর সেনবাগ থানায় খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে রাতে ওই গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করে এবং ময়নাতদন্তের জন্য সোমবার দুপুরে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করে।
সেনবাগ থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) মোঃ ইকবাল হোসেন পাটোয়ারী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন,এঘটনায় সেনবাগ থানায় হত্যার প্রলোচনার অভিযোগে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।