কালিগঞ্জের নলতায় বীরমুক্তিযোদ্ধার নামে বরাদ্দকৃত বীরনিবাস নির্মাণে নিম্মমানের সামগ্রী ব্যবহার করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ঠিকাদারকে যথাযথ সামগ্রী দিয়ে নির্মাণ কাজ করার জন্য বললেও তিনি গুরুত্ব না দিয়ে উল্টো আংশিক কাজ করে নির্মাণ কার্যক্রম দীর্ঘদিন বন্ধ রাখেন। নির্মাণ কাজ শেষ করার নির্দ্ধারিত সময় অতিবাহিত হওয়ার পর তিনি আবার কাজ শুরু করলেও ব্যবহার করা হচ্ছে নিম্নমানের ইট ও বালু।
জানা গেছে, সরকার বীরমুক্তিযোদ্ধাদের আবাসন সংকট দূর করতে গৃহ তৈরী করে দেয়ার উদ্যোগ গ্রহণ করেন। এরই অংশ হিসেবে গৃহনির্মাণ প্রকল্পের প্রথম ধাপে ১৪ লাখ ১০ হাজার ৩৮২ টাকা ব্যয়ে পূর্ব নলতার বীরমুক্তিযোদ্ধা আবুল হোসেন ৭৩২ বর্গফুটের একটি গৃহ বরাদ্দ পান। নির্মাণ কাজের ঠিকাদার হিসেবে দায়িত্ব পান সাতক্ষীরার মো. ইকবাল হোসেন। তিনি গত ০২/০৬/২০২২ তারিখ থেকে নির্মাণ কাজ শুরুর পর থেকেই নি¤œমানের ইট, বালু, খোয়া ব্যবহার করতে থাকেন। তাকে নিয়ম অনুযায়ী কাজ করার কথা বললেও তিনি কর্ণপাত না করে আংশিক কাজ করে হঠাৎ কাজ বন্ধ করে দেন। কার্যাদেশ অনুযায়ী গত ০২/১২/২২ তারিখে নির্মাণ কাজ শেষ করার কথা থাকলেও ঠিকাদার কাজ শেষ করেন নি। সম্প্রতি ঠিকাদার আবারও কাজ শুরু করে নিম্মমানের সামগ্রী দিয়ে তড়িঘড়ি করে নির্মাণ কাজ শেষ করার চেষ্টা করছেন। এ ঘটনায় বীরমুক্তিযোদ্ধা আবুল হোসেন ও তার পরিবারের মাঝে ক্ষোভ ও হতাশার সৃষ্টি হয়েছে। এমতাবস্থায় সরকারিভাবে বরাদ্দকৃত ঘর যাতে যথাযথ ভাবে নির্মাণ করা হয় সে ব্যাপারে তিনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
অভিযোগের বিষয়ে ঠিকাদার মো. ইকবাল হোসেনের মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি কল রিসিভ করেন নি।