কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার বাগোয়ান কেসিভিএন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবদুল হালিম টমের নিজ অফিসকক্ষে বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রী দিয়ে পর্ন ভিডিও তৈরীর বিষয়টি এখন সাধারণ মানুষের মুখে মুখে। আজ সকাল ১১ টায় কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সভা কক্ষে অনুষ্ঠিত মাসিক উন্নয়ন সভায় বাগোয়ান কেসিভিএন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবদুল হালিম টমের অফিস কক্ষের মধ্যে বিদ্যালয়ের কোমলমতি ছাত্র-ছাত্রী দিয়ে পর্ন ভিডিও তৈরির বিষয়টি ব্যাপকভাবে সমালোচিত হয় এ বিষয়ে কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসক সাইদুর রহমান জেলা শিক্ষা অফিসার রমজান আলী আকন্দকে এই শিক্ষকের বিরুদ্ধে দ্রুত ডিপার্টমেন্টালি ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ প্রদান করেন এ সময় জেলা শিক্ষা অফিসার রমজান আলী আকন্দ দ্রুত সময়ের মধ্যেই এই প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ডিপার্টমেন্টালি ব্যবস্থা নেবেন বলে আশ্বাস প্রদান করেন তিনি। এদিকে এই প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় নিউজ প্রকাশের পর থেকেই এলাকা থেকে গা ঢাকা দিয়েছেন তিনি এবং ঐ বিদ্যালয় ভবনের দ্বিতীয় তলায় যে দুটি রুমে হোস্টেলের নামে মাদক ও পর্ন ভিডিও তৈরির আখড়া গড়ে তুলেছিলেন সেই আখড়ার আলামত নষ্ট করার জন্য প্রধান শিক্ষকের কয়েক জন ঘনিষ্ঠ সহচর শিক্ষক তদন্তের আগেই তারা এই দুটি রুমের সকল আলামত নষ্ট করার উদ্দেশ্যে সেখানকার সকল সোফা,খাট, ডেসিন টেবিল, আলমারি, ফ্রিজ সহ আরো বিভিন্ন আসবাবপত্র ও যে সকল উপকরণ ছিল সেগুলো সরিয়ে ফেলেন এবং ওই সকল রুমে বেঞ্চ ও বইপত্র ঢোকান। অপরদিকে অফিস পক্ষের ডেকোরেশনও চেঞ্জ করার সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন তারা। একটি বিশেষ সূত্রে জানা যায় যে বিদ্যালয়ের বিভিন্ন স্থানে যে সকল সিসি ক্যামেরা লাগানো রয়েছে ঐ সকল সিসি ক্যামেরার হার্ডডিস্ক ও মেমোরিও ইতোমধ্যে সরিয়ে ফেলানো হয়েছে।