দিঘলিয়ার কৃষককূল ব্যাপকভাবে ঝুঁকছে বোরো ধান চাষে। কৃষকেরা বর্তমান সময়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন।
দিঘলিয়া উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, দিঘলিয়ার কৃষকেরা বর্তমানে বোরো ধান চাষে ব্যস্ত সময় পার করছেন। কেউবা বোরো ধানের চারা রোপণে ব্যস্ত, কেউবা আবার বীজতলার পরিচর্যায় ব্যস্ত। দিঘলিয়া উপজেলা কৃষি দপ্তর এ বছর বোরো ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে ৫ হাজার হেক্টর জমিতে। এ লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে কৃষি অফিস বসে নেই। সরকারের চালের চাহিদা পূরণ করে দেশের অন্যান্য এলাকায় চাল রপ্তানির লক্ষ্যে ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। সরকারের পক্ষ থেকে কৃষকদের মাঝে ব্যাপক প্রণোদনা প্যাকেজ বিতরণ করা হয়েছে। সরকারের এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে দিঘলিয়া উপজেলা কৃষি অফিস কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে ধানবীজ ও সার বিতরণ করেছে।
কৃষি অফিস আরো জানিয়েছে, এ বোরো মৌসুমে প্রান্তীক চাষীদের মাঝে এ ধানবীজ ও সার বিতরণ করা হয়েছে। দিঘলিয়া উপজেলায় এ বছর ২ হাজার ১০০ জন কৃষকের প্রত্যেক কৃষককে ২ কেজি করে হাইব্রিড ধানের বীজ এবং ১ হাজার কৃষকের প্রত্যেককে ৫ কেজি করে উপসী ধান বীজ, ১০ কেজি করে ডিএপি ও ১০ কেজি করে পটাশ সার বিতরণ করা হয়েছে।
দিঘলিয়ার আড়ংঘাটা ও দিঘলিয়া এলাকার কৃষক মোল্লা কামরুল ইসলাম, মোল্লা কামাল হোসেন, মোল্লা মারুফ হোসেন, ইসরাফিল মোড়ল, আঃ মান্নান, মিজান গাজী, তাইজুল মোড়ল ও আদ দ্বীন শেখ এ প্রতিবেদককে জানান, সরকারি প্রণোদনা হিসেবে সার ও বীজ পেয়ে দিঘলিয়ার কৃষকেরা খুবই খুশি। কৃষকদের উন্নত পদ্ধতিতে চাষের উপর প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। সরকারি এ ধরনের পৃষ্ঠপোষকতা ও উৎসাহ থাকলে দিঘলিয়ার কৃষকেরা ধান উৎপাদন করে দিঘলিয়ার চাহিদা পূরণ করে দেশের অন্যত্র ধান রপ্তানি করতে পারবে।
দিঘলিয়া উপজেলা উপ কৃষি অফিসার মোঃ কামাল হোসেন, মোঃ কামরুল ইসলাম মাহমুদ, সাগর সরকার, অভিজিৎ দাস, মোঃ মনিরুজ্জামান, সাবিয়া শরমিন, মনিষা মন্ডল, নিশিকান্ত রায় ও মোঃ আনোয়ারুজ্জামান এ প্রতিবেদককে জানান, দিঘলিয়ার কৃষকরা এ বছর বোরো ধানের বাম্পার ফলনের আশায় প্রাণপণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। তাঁরা বর্তমানে বীজ তলার চারা ধানের পরিচর্যায় ও চারা রোপণে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন।
দিঘলিয়া উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মোঃ আবদুস সামাদ এ প্রতিবেদককে জানান, দিঘলিয়ায় এ বোরো মৌসুমে চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৫ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো ধান চাষের। তবে এ বছর এ লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।