বাল্য বিবাহ একটি সামাজিক ব্যাধি। সমাজ থেকে বাল্য বিবাহ নির্মূল করতে হলে দরকার সামাজিক সচেতনতা। বাল্যবিবাহ ভাঙার চেয়ে প্রতিরোধ করাই উত্তম। পাড়ায় পাড়ায় বাল্যবিবাহের বিরুদ্ধে শক্তিশালী ব্রিগেড গড়ে তুলতে হবে। এজন্য শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে। তরুণ সমাজকে কাজে লাগাতে হবে। বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে তুরুণ সমাজকে দায়িত্ব নিতে হবে। কেননা আগামীর স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়ে উঠবে তরুণদের হাত ধরে।
মঙ্গলবার (২০ ডিসেম্বর) সাতক্ষীরায় বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে শিক্ষক-শিক্ষার্থী-অভিভাবক ও সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তাদের বার্ষিক সমাবেশে বক্তারা এসব কথা বলেন। সাতক্ষীরা ঋশিল্পী এডুকেশন সাপোর্ট প্রোগ্রামের আওতায় ঋশিল্পী ডেভেলপমেন্ট সেন্টার অডিটোরিয়ামে ওই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ঋশিল্পীর পরিচালক ভিনসেনজো ফালকুনে। সমাবেশে বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট শেখ মঈনুল ইসলাম, ঋশিল্পীর কর্মকর্তা সৈয়দ মুহাম্মদ খালেদ, সেলিমুল ইসলাম, আনন্দ কুমার সরকার, সনোজ কুমার বসু, ডি. বি গার্লস হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক মোঃ এমাদুল ইসলান, মাছখোলা হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক মোঃ শাহজাহান আলী, কুমিরা হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক আমিরুল ইসলাম, কুশখালি হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক মোঃ আবদুল জব্বার, নগরঘাটা কবি নজরুল বিদ্যাপীঠের প্রধান শিক্ষক মোঃ সাইদুজ্জামান, সেনার পরিবার সদস্য মিনতি দাশ, পূর্ণিমা রানী, রতœা সানা প্রমুখ। ঋশিল্পী কর্মকর্তা গৌতম কুমার সরকারের পরিচালনায় সমাবেশে মনোজ্ঞতা সংগীত পরিবেশন করেন মনিরুজ্জামান ও দুখিরাম মন্ডল। বাল্যবিবাহ প্রতিরোধকে সচেতনতামূলক নৃত্য ও অভিনয় প্রদর্শন করেন সোনার পরিবারের সদস্য পিয়া খাঁ।
সমাবেশে বক্তারা আরও বলেন, সবচেয়ে বেশি বাল্যবিবাহের শিকার হচ্ছে পিছিয়েপড়া জনগোষ্ঠীর সন্তানেরা। মহামারি করোনাকালে আমাদের যে সর্বনাশ হয়ে গেছে তা আর ফিরে পাওয়া যাবে না। ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত বাংলাদেশ গড়তে হলে ২০৩০ সালের মধ্যে বাল্যবিবাহ নির্মূল করতে হবে। এজন্য এখনই বাল্যবিবাহের বিরুদ্ধে সামাজিক জাগরণ সৃষ্টি করতে হবে।