বিশ্বকাপের খেলা চলাকালে পুর্ব শক্রতায় তুফান নামের একজনকে ছুরিকাঘাত করার জেড়ে পাবনায় প্রতিপক্ষের বাড়িতে হামলা-ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে এলাকার প্রভাবশালীদের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে ৪ জনকে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
রোববার (১৮ ডিসেম্বর) রাত দশটার দিকে পাবনা পৌর সদরের কাশিপুর বটতলা মোড়ে এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন-হেমায়েতপুর ইউনিয়নের কাশিপুর বটতলা গ্রামের মনছুর আলীর ছেলে সাজু আলী (২২), কালাম হোসেন (২১), দেলোয়ার হোসেনের ছেলে রাশেদুল ইসলাম (২১), রমিজুল ইসলামের ছেলে সুইট হোসেন(২৪)।
ভূক্তভোগীদের পরিবার জানায়, কাশিপুর বটতলা মোড়ে বড় পর্দায় বিশ্বকাপ ফুটবল খেলা দেখার সময় তুফান নামের একজনকে ডেকে নিয়ে দুর্বৃত্তরা ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় তুফানের অনুসারীরা মনে করেছে তুফানকে আমাদের ছেলেরা হয়ত ছুরি মেরেছে। এটা ভেবে আমাদের বাড়িতে সবুজ প্রামানিক, সুজন শেখ, আশরাফ আলী, মাহতাব উদ্দিন, বকুল, জাহিদ গংসহ শতাধিক লোকজন ঘটনার পরে দেশীয় অস্ত্র, লাঠিসুটা নিয়ে অতর্কিত হামলা চালায়। এ সময় বাড়িতে থাকা আলমারি, সুকেচ, টেলিভিশন, ফ্রিজ, টিভি ভাঙচুর করে। বাড়িতে থাকার ঘড় দেওয়ার জন্য সমিতি থেকে দেড় লাখ টাকা ঋণ নিয়ে বাড়িতে রাখা হলে ওই টাকাও তারা লুটপাট করে নিয়ে যায। এ সময় পেট্রোল দিয়ে বাড়িঘর পুড়িয়ে দেওয়ারও হুমকি দিয়ে যায় সন্ত্রাসীরা।
আহত রাশেদের দাদি হেলেনা খাতুন, সুইটের মা মাবিয়া খাতুন, কালামের দাদি কুলসুম বেগম বলেন, বাড়ির পাশের মোড়ে বিশ্বকাপ খেলার সময় কে বা কারা তুফানকে ছুরিকাঘাত করে। এখন সমস্ত দোষ আমাদের উপর দেওয়া হচ্ছে। থানায় অভিযোগ না দিয়ে তারা নিজেহাতে প্রতিশোধ নিতে গভীর রাতে আমাদের বাড়িতে শতাধিক লোকজনসহ অস্ত্র লাঠিসুটা নিয়ে আমাদের উপর আক্রমণ চালিয়ে বাড়িঘর ভাঙচুর করে। বাড়িতে থাকা নগদ অর্থ, টেলিভিশন নিয়ে গেছে। আহত রাশেদের বড় ভাইয়ের ২ মাসের একটি বাচ্চা সন্তানের তার উপরও তারা হামলার চালিয়েছে। ভয়ে প্রাণ নিয়ে কোনমত বাচ্চা ও বাচ্চার মা জীবন রক্ষা পায়। আমাদের ছেলেরা এ ঘটনা জানেই না। ষড়যন্ত্র করে আমাদের ফাঁসানো হচ্ছে। এ ঘটনায় আমরা নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছি। আমাদের পরিবারের লোকজনকে আত্মগোপনে থাকতে হচ্ছে। আমাদের উপর যেকোন সময় বড় ধরনের হামলা চালানো হতে পারে। প্রশাসনের নিকট এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করেন তারা।
এ বিষয়ে পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কৃপা সিন্ধু বালা বলেন, খবর পাওয়ার পরপরই পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শণ করেছে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পুনরায় হামলার কোন সুযোগ নেই। লিখিত অভিযোগ দিলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।