সাতক্ষীরা সদর উপজেলার সীমান্তবর্তী দাঁতভাঙা ও মালিনি বিলে চোরা শিকারীরা নির্বাচারে পাখি শিকার করছে। বিষটোপ আর ফাঁদ পেতে এসব পাখি শিকার করা হচ্ছে। পাখি রক্ষায় প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকাবাসি।
স্থানীয় শাহজাহান কবীর নামক একজন সংবাদকর্মী বার্তা সংস্থা এফএনএসকে জানান, সীমান্তবর্তী এ দুটি বিলে প্রতিবছর হাজার হাজার অতিথি পাখি আসে। কিন্তু যে পরিমান পাখি আসে তার স্বল্প সংখ্যক ফিরে যেতে পারে। কারণ অধিকাংশ পাখিগুলো চোরা শিকারীদের ফাঁদে আটকা পড়ে। প্রতিদিন এসব পাখি এলাকার মোড়ে এনে দর তুলে বিক্রি করা হচ্ছে। বড় জাতের কস্তুরী পাখিগুলো এক হাজার থেকে বারোশ’ আর হাঁস পাখিগুলো জোড়া ৪শ’ টাকা এবং দইকেল পাখিগুলো (বড় জাতের কবুতরের মতো দেখতে) জোড়া আটশ’ টাকা।
তিনি আরও জানান, স্থানীয় চোরা শিকারিদের ফাঁদে পড়ে অনেক পাখি মানুষের আহার হচ্ছে। আবার অনেক পাখি শিকারীদের বিষটোপ খেয়ে নাগালের বাইরে গিয়ে মারা যাচ্ছে।
স্থানীয় ছনকা গ্রামের পাখিপ্রেমিক মেহেদী হাসান তোতা জানান, তিনি প্রতিনিয়ত পাখি শিকারীদের পাখি শিকার ও বিক্রির দৃশ্য দেখে অনেক কষ্ট পান। তবে এ বিষয়ে প্রতিকারের জন্য বা এসমস্ত অতিথি পাখি রক্ষার জন্য প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন মহলে বারবার জানালেও কোন ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় তিনি হতাশ। তিনি আরও জানান, এসব চোরাশিকারীদের মধ্যে বেশি অংশ এখানকার আদিবাসী, চৌদালী সম্প্রদায়ের সদস্যরা। তাদের কাছে অতিথি পাখি বলে কথা নয়, দেশিয় প্রজাতির সমস্ত পাখি তারা শিকার করে থাকে। তারা কারো বাঁধা নিষেধ মানেনা।
এদিকে সাতক্ষীরা সদর থানা পুলিশ মালিনি বিলে পাখি শিকারের খবর পেয়ে অভিযান চালায়। সাতক্ষীরা সদর থানা পুলিশ এসআই শাহজালাল ও এএসআই সাইমুন গতকাল ঘটনাস্থল থেকে দুটো অতিথি পাখি উদ্ধার করেছেন। স্থানীয়দের মধ্যে ছনকা গ্রামের আবদুল আলিম, আলি আজগর, কামাল হোসেন, অলিউর রহমান, মেহেদী হাসান তোতা জানান আমাদের এখানে দুটি বিল দাঁতভাঙা ও মালিনি। প্রতিবছর এখানে অসংখ্য অতিথি পাখি আসে। কিন্তু চোরা শিকারীদের পাতা ফাঁদ ও বিষ টোপে প্রাণ যায় এসব পাখিদের। এ ঘটনায় পুলিশ এসে দুটো অতিথি পাখি উদ্ধার করেছে। এ ব্যপারে ঘোনা ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল কাদের পুলিশী অভিযানের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এসব পাখি নিধন অপরাধ। যারা এ কাজের সাথে জড়িত তাদের শাস্তি হওয়া উচিৎ।