পাবনার চাটমোহর উপজেলার ৮টি ইটভাটায় অবাধে পোড়ানো হচ্ছে খড়ি বা কাঠ। একইসাথে কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে ফসলি জমির মাটি। হাইকোর্টের নির্দেশনা বাস্তবায়ন না হওয়ায় ভাঁটা মালিকরা কোন কিছুর তোয়াক্কা না করে দেদারছে কাঠ পোড়াচ্ছেন। এদিকে অবৈধভাবে ইটভাটায় কাঠ পোড়ানোর অভিযোগে সম্প্রতি ৫টি ইটভাটায় স্থানীয় প্রশাসন অভিযান চালিয়ে ৩ লাখ ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন। কিন্তু তাতে থেমে নেই কাঠ পোড়ানো।
সরেজমিনে দেখা যায়,চাটমোহরের বওশা ঘাট এলাকার হাজী ব্রিকস ফিল্ডে শত শত মণ কাঠ সাজানো। কয়লার পরিবর্তে ইটভাটায় গাছের গুড়ি পোড়ানো হচ্ছে। এ ইটভাটায় বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই মোটা মোটা গাছ কেটে ছোট ছোট টুকরো করে ভাটার চুল্লিতে পোড়ানো হচ্ছে। কোন কিছুর তোয়াক্কা করা হচ্ছেনা। একই অবস্থা অন্যান্য ইটভাটাতেও। কৃষি জমি বিনষ্ট করে কোন প্রকার অনুমোদন না নিয়ে ভাঁটা স্খাপন করে অবাধে ভাটায় কাঠ পোড়ানো হচ্ছে। প্রতিদিন বিভিন্ন এলাকা থেকে বিভিন্ন যানবাহনে করে কাঠ আনা হচ্ছে ইটভাটায়। ভাটার সামনে নামকাওয়াস্তে কিছু কয়লা স্তুপ করে রেখে রাতভর চলছে কাঠ পোড়ানো। প্রতিদিন উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে কাঠ কেটে এনে স্তুপ করে রাখা হয়ে। রাতে সেসব কাঠ ইটভাটায় সরবরাহ করা হচ্ছে।
ইটভাটায় নিয়ম নীতি মানা হচ্ছেনা। বর্তমানে এসব ভাটার ট্রেড লাইসেন্স বা ইউনিয়ন পরিষদের কোন ছাড়পত্র নেই,নেই পরিবেশ অধিদপ্তরের ও কৃষি বিভাগের ছাড়পত্র বা অনুমোদন।
ইটভাটায় কাঠ পোড়ানোর বিষয়ে চাটমোহর ব্যবসায়ী সমিতির সহ-সভাপতি হাজী মোজাম্মেল হক বলেন,প্রতিদিন যেহারে গাছ কেটে ইটভাটায় দেওয়া হচ্ছে,তাতে মনে হয় কাঠ দিয়ে ইট পোড়ানোর জন্যই ইটভাটা স্থাপন করা হয়েছে। এটা বন্ধ হওয়া দরকার।
উপজেলঅ আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা এস এম নজরুল ইসলাম বলেন,ইটভাটায় কাঠ পোড়ানো সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ বলে জানি। কিন্তু এটা হচ্ছে কীভাবে। কাঠ পোড়ানোর বলে উপজেলার বৃক্ষরাজি উজাড় হচ্ছে,পরিবেশ হচ্ছে বিপন্ন। এ ব্যাপারে দ্রুত আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানাচ্ছি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছাঃ মমতাজ মহল বললেন,ইটভাটায় কয়লার পরিবর্তে জ¦ালানি হিসেবে কাঠ পোড়ানো কোনভাবেই কাম্য নয়। এজন্য অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে একাধিক ইটভাটায় জরিসানা করাসহ সতর্ক করা হয়েছে।