চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা প্রশাসক একে এম গালিভ খাঁন বলেছেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্ন প্রসূত হৃদয়ের উত্তাপ আশ্রয়ণ প্রকল্প। ভূমিহীন ও গৃহহীন মানুষকে তিনি অসহায় রাখতে চাননি। সেজন্য প্রধানমন্ত্রী সারাদেশ জুড়ে আশ্রয় প্রকল্প তৈরি করেছেন। এ জেলায় চার হাজার ৮১৯টি ঘর জমিসহ পাকা ঘর দুঃস্থ ও অসহায় মানুষকে বানিয়ে দিয়েছেন। এ আশ্রয়ণের ঘরে সুখে শান্তিতে বসবাস করছেন তাঁরা। প্রধানমন্ত্রীর এই সুখের জায়গাটি সেটি হলো প্রান্তিক মানুষজন সুখে শান্তিতে ভাল থাকবে,সেটি ওঁর চাওয়া। এই গোমস্তাপুর উপজেলার প্রত্যেক আশ্রয়ণে সেই সুবাতাস বইছে। বুধবার দুপুরে গোমস্তাপুর উপজেলার রহনপুর ইউনিয়নে রতনপুরের আশ্রয়ণ প্রকল্পের প্রধানমন্ত্রীর উপহারের বাড়ি পরিদর্শনকালে তিনি একথাগুলো বলেন। তিনি আরও বলেন, যারা আশ্রয়ণ প্রকল্পের উপহারভোগী তাঁরা প্রত্যেকে স্বাস্থ্য,শিক্ষা এবং তাঁদের কৃষি সকল সূচকে এগিয়ে যাচ্ছে। কিছুক্ষণ আগে রতনপুর আশ্রয়ণ প্রকল্প ঘুরে দেখলাম। প্রত্যেকটি ঘরে উপহারভোগীরা বসবাস করছেন। কেউ কাজের জন্য সামান্য কিছুদিন জীবিকার জন্য দূরে থাকছেন। আবার তাঁরা পুণরায় এসে এ জায়গায় বসবাস করছেন।
এরআগে তিনি ওই এলাকার উপহারভোগীদের সাথে মতবিনিময় করেন। এ ছাড়া তিনি আশ্রয়ণ প্রকল্পের উপকারভোগিদের খোঁজ খবর নেন। তাঁদের হাঁস মুরগি পালন, সবজি চাষ দেখে খুশি হন এবং ধন্যবাদ ও উৎসাহ জোগান। এ সময় উপকারভোগি মোজাফফর, কারিমা খাতুন, উমর আলী আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর পেয়ে তাঁরা সম্মানিত এবং তিনি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার জন্য দোয়া করেন।
পরে জেলা প্রশাসক নতুন নির্মিত চতুর্থ ধাপের আশ্রয়ণ প্রকল্পের ৭৫ টি ঘরের নির্মাণ সামগ্রী ও কাজ ঘুরে দেখেন। এসম উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোঃ আনিছুর রহমান, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হুমায়ুন রেজা, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আসমা খাতুন, রহনপুর পৌরসভার মেয়র মতিউর রহমান খাঁন, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তানভীর আহমেদ সরকার, প্রানী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. কাওসার আলি, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ফেরদৌসী বেগম, প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবদুল মজিদ, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা হাবিবুর রহমানসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও গণমাধ্যম কর্মীরা।
এদিকে জেলা প্রশাসক এ কে এম গালিভ খান সাংবাদিকদের প্রশ্নে বলেন, কর্মসংস্থানে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা কিভাবে তাঁদেরকে আমরা আমাদের যে মেশিনারীগুলো রয়েছে যুব উন্নয়ন,কৃষি,ভ্যাটেনারী,সমবায় সকল মহিলা বিষয়কসহ সকল দপ্তরগুলো রয়েছে তাঁদেরকে সম্পৃক্ত করা। প্রত্যেক বাচ্চা যেন স্কুল যায় সেদিকে আমাদের সজাগ দৃষ্টি রয়েছে। এ ছাড়া আয়বর্ধক কর্মসুচীতে সম্পৃক্ত করা হচ্ছে। আর্থ সামাজিক উন্নয়ন হোক। সুখে শান্তিতে বাস করুক এটাই প্রধানমন্ত্রী চেয়েছেন।