যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার পানিসারা ইউনিয়নের কুলিয়া গ্রামের মৃত মোরশেদ আলীর ২য় স্ত্রীর বড় ছেলে ডাক্তার বিল্লাল হোসেন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান নয়, এমনটাই জানিয়েছেন ঝিকরগাছার ৩ জন্য বীর মুক্তিযোদ্ধা। সম্প্রতি একটি সাংবাদিক সম্মেলনে বিল্লাল হোসেন নিজেকে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান দাবী করলে এ তথ্য বেরিয়ে আসে।
বীর বিক্রম রকেট জলিলের ভাইপো বীর মুক্তিযোদ্ধা ঝিকরগাছা উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ডেপুটি কমান্ডার শাহজাহান আলী বলেন রকেট জলিলের সাথে আমি নিজে থেকে যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছি। সেখানে কুলিয়া গ্রামের কেউ মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেনি। মোরশেদ নামের কেউ আমাদের সহযোদ্ধা ছিলোনা। বরং কুলিয়া গ্রামে ১৫ জন রাজাকার ছিলো।১৯৭১ সালে ভারতের উড়িষ্যায় কোনো মুক্তিযোদ্ধা প্রশিক্ষণ শিবির ছিলো না।
ঝিকরগাছা পৌরসভার মোবারকপুর গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা ইদ্রিস আলি জানান, বিল্লালের সংবাদ সম্মেলনে আমি উপস্থিত ছিলাম না। বিল্লালের পিতা মোরশেদকে আমি চিনিনা। সে মুক্তিযুদ্ধ করেছে কিনা সেটাও আমার জানা নেই।
ঝিকরগাছা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের আরেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা লিয়াকত আলী বলেন, কুলিয়া গ্রামে মশিয়র রহমান নামে কোনো মুক্তিযোদ্ধা নেই।
ইতিমধ্যে ভাতা প্রদানকারী সোনালী ব্যাংক কতৃপক্ষ বিল্লালকে তলব করে তার পক্ষে প্রমাণাদী উপস্থাপন করতে বললেও সে কোনো প্রমাণ দেখাতে পারেনি। এজন্য ব্যাংক কতৃপক্ষ তাকে এ যাবৎকাল গ্রহন করা সন্মানীর টাকা ফেরত প্রদানের জন্য মৌখিক ভাবে জানিয়ে দিয়েছেন।
এদিকে মিথ্যা তথ্য দিয়ে পানিসারা ইউনিয়ন পরিষদ থেকে বিল্লালের পিতা মোরশেদ আলী কে মশিয়র বানিয়ে জন্ম নিবন্ধন সংগ্রহ করার খবর প্রকাশের পর ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জাকির হোসেন পিপুল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে ওই জন্ম নিবন্ধন বাতিল করার জন্য আবেদন জমা দিয়েছেন।
যশোর শাখায় বিল্লাল হোসেনের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ দায়ের হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন দুর্নীতি দমন কমিশন্, সমন্বিত যশোর জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক মোঃ আল আমিন।