মুলাদীতে শিশু কণ্যাসহ তাকিয়া আক্তার নামে এক গৃহবধু নিখোঁজ হয়েছেন। গত ১৮ ডিসেম্বর বিকেলে তিনি নিখোঁজ হন। তাকিয়া আক্তার মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার কাজিরহাট থানার সাতহাজার বিঘা গ্রামের বাচ্চু মীরের মেয়ে। হত্যা ও গুম সন্দেহে ঘটনার তিন দিন পর মঙ্গলবার রাতে তাকিয়ার বাবা থানায় অভিযোগ দিয়েছেন। এতে তাকিয়ার স্বামী, শ্বশুর, শাশুড়ি ও ননদ জামাইসহ ৭জনকে আসামি করা হয়েছে।
বাচ্চু মীর জানান, প্রায় ৫ বছর আগে তাকিয়ার সঙ্গে মুলাদী উপজেলার দক্ষিণ কাজিরচর গ্রামের রেইন্ট্রিতলা এলাকার ছত্তার মোল্লার ছেলে আব্বাস মোল্লার বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে আব্বাস ও তার বাবা-মা যৌতুকের দাবীতে তাকিয়ার ওপর নির্যাতন করতো। মেয়েকে নির্যাতন থেকে বাঁচাতে তিনি আব্বাস মোল্লার পরিবারকে দের লক্ষ টাকা যৌতুকও দেন। কিন্তু এর পরেও নির্যাতন বন্ধ হয়নি।
বাচ্চু মীর আরও বলেন, তিনি পরিবার নিয়ে চট্টগ্রাম থাকেন। গত ১৮ ডিসেম্বর রাত ২টার দিকে জামাতা আব্বাস মোল্লা মোবাইল ফোনে জানায় যে, বিকেল থেকে তাকিয়া ও তার কণ্যাকে পাওয়া যাচ্ছে না। কিন্তু তাঁরা থানা পুলিশের মাধ্যমে কিংবা নিজেরা কোথাও খোঁজ করার চেষ্টা করেনি। পরবর্তীতে বাচ্চু মীর মোবাইল ফোনে আত্মীয়-স্বজনদের মাধ্যমে মেয়ে ও নাতির খোঁজ শুরু করেন। মেয়ে ও নাতির সন্ধান না পাওয়ায় তাঁর সন্দেহ আব্বাসের বাবা-মা ও ভগ্নিপতি জামাল হোসেন লোকজন নিয়ে কণ্যাসহ তাকিয়া আক্তারকে হত্যা করে লাশ গুম করে রেখেছে।
এব্যাপারে তাকিয়ার স্বামী আব্বাস মোল্লা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, গত ১৮ ডিসেম্বর বিকেলে শিশু কণ্যাসহ তাকিয়া প্যাদারহাট বন্দরে জামা-কাপড় বানাতে গিয়েছিলো। সন্ধ্যার পরেও বাড়ি না ফেরায় বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ করা হয়েছে। সন্ধান না পেয়ে বিষয়টি মোবাইল ফোনে শ্বশুর বাচ্চু মীরকে জানানো হয়েছে। এ ছাড়া নিখোঁজের বিষয়ে ১৯ ডিসেম্বর মুলাদী থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে।
মুলাদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তুষার কুমার বলেন, আব্বাস মোল্লা তাঁর স্ত্রী ও মেয়ে নিখোঁজের বিষয়ে একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন। তাকিয়ার মোবাইল ফোনের কললিষ্ট ধরে খোঁজ চলছে। এ ছাড়া তাকিয়ার বাবা বাচ্ছু মীরের অভিযোগের বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে।