আওয়ামী সরকারের পদত্যাগ সহ ১০ দফা বাস্তবায়ন এবং বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদ জিয়া, মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, মির্জা আব্বাসসহ সারাদেশে গ্রেপ্তারকৃত নেতৃবৃন্দের মুক্তির দাবীতে ঝালকাঠি জেলা বিএনপি'র গনমিছিলে পুলিশি বাধার অভিযোগ পাওয়া গেছে। পুলিশি বেরিকেটের মধ্যে শনিবার সকাল ১১টায় শহরের আমতলা রোডস্থ জেলা বিএনপির কার্যালয়ের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়। মিছিলটি সামনে অগ্রসর হতে চাইলে পুলিশ বেরিকেট দিয়ে আটকে দেয়। পরে তারা মিছিল সমাপ্ত করে সমাবেশ করে দলটি।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, মির্জা আব্বাস, রুহুল আমীন রিজভীসহ রাজবন্ধিদের মুক্তির দাবি ও পুলিশের গুলিতে বিএনপি নেতাকর্মীদের হত্যার প্রতিবাদে দেশব্যাপী গণমিছিলের কর্মসূচি ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ। জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট মো. সৈয়দ হোসেনের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট মো. শাহাদাত হোসেন, আহ্বায়ক কমিটির সদস্য রফিকুল ইসলাম জামাল, ওয়ারেচ আলী খান, অ্যাডভোকেট মিজানুর রহমান মুবিন, পৌর বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট নাসিমুল হাসান, সাধারণ সম্পাদক আনিচুর রহমান তাপু, সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি এজাজ হাসান, সাধারণ সম্পাদক মোঃ খোকন মল্লিক, জেলা যুবদল আহ্বায়ক শামীম তালুকদার, সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট আনিচুর রহমান খান, স্বেচ্ছাসেবক দল সভাপতি সফিকুল ইসলাম লিটন, সাধারন সম্পাদক সাফায়াত হোসেন সরদার, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি মোঃ আরিফ হোসেন খান, সাধারন মোঃ গিয়াস সরদার দিপু।
জেলা বিএনপির সদস্যসচিব অ্যাডভোকেট শাহাদাৎ হোসেন জানান, দলীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে গণমিছিলটি বের হয়ে শহরের প্রধান সড়কে যেতে চাইলে পুলিশ তাতে বাধা দেয়। এ সময় পুলিশের সাথে বিএনপি নেতাকর্মীদের ধস্তধস্তি হয়। একপর্যায়ে পুলিশ তাদের ধাওয়া করলে দলীয় কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নেন নেতাকর্মীরা। সেখানেই পুলিশের বেড়িকেটের মধ্যে সমাবেশ করে তাঁরা। আওয়ামী লীগ বিএনপির সকল কর্মসূচিকে ভয় করে, কারণ তাদের পাশে জনগণ নেই। তাই পুলিশ বাহিনী দিয়ে নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করানো হচ্ছে। অবিলম্বে গ্রেপ্তারকৃত নেতাকর্মীদের মুক্তি দেওয়া না হলে কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে বলে ঘোষণা দেন বক্তারা।
ঝালকাঠি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নাসির উদ্দিন জানান, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে বিএনপির মিছিলটি শহরের প্রধান সড়কে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি।