বরগুনার বামনা উপজেলার ডৌয়াতলা ইউনিয়নের দক্ষিন গুদিঘাটা গ্রামের চলাভাংগা দরবার শরীফ এর পূর্ব পাশের ধানক্ষেত থেকে আ.রহিম ওরফে আলাউদ্দিন(১৬) নামে একজন এস.এস.পরীক্ষার্থীর গলায় ফাঁস লাগানো মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধার হওয়া মরদেহটি একই ইউনিয়নের উত্তর গুদিঘাটা গ্রামের আমীর হোসন এর বড় ছেলে। সে উত্তর কাকচিড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থী ছিলেন।
শনিবার(২৪ ডেসেম্বর) বেলা ১১টায় চলাভাংগা দরবার শরীফ এর পূর্ব পাশের ধানক্ষেত থেকে তার মরদেহটি পুলিশ উদ্ধার করে। এর আগে গত শুক্রবার বিকাল ৫টা থেকে সে নিখোঁজ ছিলো বলে স্বজনরা জানায়।
বামনা থানা পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌছে মরদেহের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরী করে মরদেহটি ময়না তদন্তের জন্য বরগুনা মর্গে পাঠিয়েছেন। তবে এ ঘটনায় রিপোর্টটি তৈরী করা পর্যন্ত বামনা থানায় নিহতের পরিবারের পক্ষে কোন মামলা দায়ের করা হয়নি।
ধানক্ষেতের মালিক ও প্রত্যক্ষদর্শী মো. আলমগীর খান জানান, শনিবার সকাল ১০টার দিকে তিনি ক্ষেতে পাকা ধান কাটতে যান। কিছু জমির ধান কাটার পরে তিনি একজন মানুষের পা দেখতে পেয়ে চিৎকার করেন। পরে স্থানীয়রা ছুটে এসে বামনা থানা পুলিশকে খবর দেয়।
নিহতের বাবা আমীর হোসেন বলেন, আমার ছেলে ভালো স্বভাবের। সে এসএসসি পরীক্ষার্থী ছিলো। শুক্রবার প্রাইভেট বন্ধ থাকায় সে বিকাল ৫টার দিকে ঘুড়তে বেড় হয়। ওর কাছে একটি দামী মোবাইল ফোন ছিলো। সারা রাতে ছেলে ফিরে না আসলে বিভিন্ন আত্মীয়স্বজন এবং ওর বন্ধুদের কাছে খোঁজ নেই। কোথাও তাকে খুজে পাওয়া যায়নি। শনিবার সকালে থানায় গিয়ে জিডি করার জন্য প্রস্তুতি নিলে সকাল ১১টার দিকে একজন আমাকে ফোন করে ছেলের খোঁজ দেয়। আমরা এসে ছেলের গলায় ফাঁস লাগানো মরদেহটি ধান ক্ষেতে পাই। আমার ছেলেকে খুন করা হয়েছে। ওর সাথে কিংবা আমার সাথে কারো কোন শত্রুতা নাই। তবুও কেন আমার সন্তান এভাবে বলি হলো। আমি এর সুষ্ঠু তদন্তপূর্বক বিচার চাই।
বামনা থানার অফিসার ইনচার্জ মো. বশিরুল আলম বলেন, বিষয়টি জেনে তাৎক্ষনিক পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে তদন্ত শুরু করছে। এছাড়াও এই হত্যাকান্ডের সঠিক রহস্য উদঘাটনের জন্য পুলিশের ঊর্ধ্বতন তদন্ত দলকে অবহিত করা হয়েছে। আশাকরি দ্রুত এই হত্যার রহস্য উম্মোচন হবে।