বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলার নীমতলা বাসষ্ট্যান্ডের একটি খাবার হোটেলে হামলার প্রতিবাদ এবং হামলাকারীদের গ্রেপ্তার করে শাস্তির দাবীতে শনিবার সকালে থেকে রোববার পর্য়ন্ত ৩৫টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হয়েছে। তাদের (ক্রেতারা) পছন্দমতো খাবার তৈরি না করতে পারায় শনিবার সকালে কাষ্টমার (ক্রেতারা) হোটেল মালিক ও তার কর্মচারীকে মারধর ও খাবার হোটেলের আসবাবপত্র ভাংচুর কররে। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলার নীমতলা বাসষ্ট্যান্ডের সোলায়মান মুন্সির খাবার হোটেলে শনিবার সকালে কাষ্টমার (ক্রেতারা) দক্ষিণ শিহিপাশা গ্রামের সৈয়দ বাচ্চু মিয়ার ছেলে সৈয়দ স¤্রাট ও একই এলাকার সালাম মোল্লার ছেলে মাসুম মোল্লা খাবারের জন্য পরাটা চায়। তাদের পছন্দমতো খাবার তৈরি না করতে পারায় হোটেল মালিক সোলায়মান মুন্সি ও কর্মচারী জাকির সিকদারকে মারধরকরে এবং খাবার হোটেলের আসবাবপত্র ভাংচুর কর। হামলার প্রতিবাদ এবং হামলাকারীদের গ্রেপ্তার করে শাস্তির দাবীতে শনিবার সকালে থেকে রোববার পর্য়ন্ত ৩৫টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
হোটেল মালিক সোলায়মান মুন্সি জানান, এলাকার বখাটে সৈয়দ স¤্রাট ও মাসুম মোল্লা আমার দোকানে এসে খাবার নিয়ে আমাকে ও আমার কর্মচারীকে মারধর করে। এ সময় তারা আমার দোকানে ভাংচুর করে নগদ পাঁচ হাজার টাকা নিয়ে যায়। এ বিষয়ে আমি আগৈলঝাড়া থানায় মামলা দায়ের করেছি। শবিবার সকাল থেকে আমারা ৩৫টি দোকান বন্ধ রেখেছি।
অভিযুক্ত হামলাকারী সৈয়দ স¤্রাট জানায়, হোটেল মালিক ও তার কর্মচারীর সাথে আমার বাকবিতন্ডা হয়েছে মারধরের ঘটনা ঘটে নাই।
আগৈলঝাড়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মাজহারুল ইসলাম জানান, হোটেল ভাংচুর ও দুই জনকে মারধরের ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। আসামীদের গ্রেপ্তারে জন্য অভিজান চলছে। আমারা ব্যবসায়ীরে দোকান খুলতে বলেছি।