খুলনার পাইকগাছায় একমাত্র শিশু সস্তানকে খেলতে পাঠিয়ে গলায় রশি দিয়ে আত্মহত্যা করেছে মা পিয়া খাতুন (২৪)। সে উপজেলার কপিলমুনির কাশিমনগর গ্রামের মহিদুল ইসলাম মধুর স্ত্রী। খবর পেয়ে স্থানীয় কপিলমুনি ফাঁড়ির পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য রোববার সকালে মর্গে পাঠিয়েছেন। পারিবারিক সূত্র জানায়, শনিবার সকালে স্বামী মহিদুল ইসলাম রেন্ট-এ কার চালক সকালে বাড়ি থেকে বেরিয়ে খুলনায় গেলে। দুপুর আনুমানিক ২ টার দিকে একমাত্র সন্তান সাড়ে ৪ বছরের মেয়ে মাহিশা আক্তার মরিয়মকে নীচে খেলতে পাঠিয়ে দ্বিতীয় তলার নিজ ঘরে ফ্যানের সাথে ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করে। এরপর আড়াইটার দিকে শিশু মরিয়ম খাবার খাওয়ার জন্য কান্নাকাটি করতে থাকলে পিয়ার শ্বশুর ইদ্রিস আলী ইদু শেখ দ্বিতীয় তলায় তার ঘরে গিয়ে ঝুঁলন্ত অবস্থায় তার লাশ দেখতে পায়। এরপর তার চিৎকারে প্রতিবেশীরা এগিয়ে এসে তাকে উদ্ধার করার আগেই তার মৃত্যু হয়। খবর পেয়ে কপিলমুনি পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এমদাদ আলী, এসআই শাহাজুল ইসলাম সঙ্গীয় ফোর্সসহ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। জানাযায়, প্রায় ৭ বছর পূর্বে উপজেলার হরিদাশকাটি গ্রামের মৃত আহাদ আলী মোড়লের মেয়ে পিয়া খাতুনের সাথে বিয়ে হয় কাশিমনগরের মহিদুল ইসলাম মধুর। বিয়ের পর তাদের দাম্পত্য জীবনে মাহিশা আক্তার মরিয়ম (৪) নামে এক কন্যা শিশুর জন্ম হয়। সর্বশেষ তার সুরোতহাল রিপোর্ট শেষে ময়নাতদন্তের জন্য রোববার লাশ মর্গে পাঠানো হয়। তবে ঠিক কি কারণে সে আত্মহত্যা করেছে তাৎক্ষণিক তার কারণ জানাযায়নি।