রাজশাহীর বাঘা পৌর নির্বাচনে মেয়র প্রার্থীদের পাল্টাপাল্টি অভিযোগ পাওয়া গেছে। নৌকার মনোনীত মেয়র প্রার্থী শাহিনুর রহমান পিন্টু ও স্বতন্ত্র প্রার্থী আক্কাছ আলী পৃথকভাবে এই অভিযোগ করেন।
জানা যায়, আগামী ২৯ ডিসেম্বর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এ নির্বাচনে নৌকার মনোনতী মেয়র প্রার্থী শাহিনুর রহমান পিন্টুর নারায়নপুর সড়কঘাট এলাকায় নির্বাচনী অফিস পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বলে রোববার (২৫ ডিসেম্বর) থানায় অভিযোগ করেন।
অপর দিকে স্বতন্ত্র প্রার্থী আক্কাছ আলী জগ প্রতিক নিয়ে নির্বাচনী প্রচারনায় বিভিন্ন এলাকায় বাধা প্রদান করা হচ্ছে বলে শুক্রবার (২৩ ডিসেম্বর) জেলা নির্বাচন অফিসে অভিযোগ করেন।
এ বিষয়ে নৌকার মনোনতী মেয়র প্রার্থী শাহিনুর রহমান পিন্টু বলেন, আমি আ.লীগের নেতাকর্মী নিয়ে পৌরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডে নির্বাচনী প্রচারনা চালাচ্ছি। কিন্তু স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী আক্কাছ আলী আমার নির্বাচনী ক্যাম্প শনিবার (২৪ ডিসেম্বর) নারায়নপুর সড়কঘাট এলাকায় রাতের আঁধারে পুড়িয়ে দিয়েছেন। এ বিষয়ে থানায় অভিযোগ করা হয়েছে।
আক্কাছের অভিযোগ অস্বীকার করে পিন্টু বলেন, বর্তমান সরকারের উন্নয়ন বিবেচনা করলে আমার বিশ্বাস, জনগণ নৌকাকে ব্যাপক ভোটের ব্যবধানে বিজয়ী করবে।
এদিকে সরকার দলীয় প্রার্থীর অফিস পোড়ানোর বিষয়ে স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী আক্কাছ আলী বলেন, ‘দলের সমর্থন না পেলেও জনগণের সমর্থন নিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছি। জনগণ জগ প্রতীকে ভোট দেয়ার জন্য উদগ্রীব হয়ে আছে। গণজোয়ার দেখে সরকার দলের প্রার্থীর লোকজন আমার কর্মী-সমর্থকদের প্রচারনায় বাধা ও বিভিন্ন হুমকি দিচ্ছে। এ বিষয়ে জেলা নির্বাচন অফিসার বরবার শুক্রবার (২৩ ডিসেম্বর) সহ একাধিক অভিযোগ দিয়েও কোনো প্রতিকার পাচ্ছি না। তবে ভোট স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।
উপজেলা নির্বাচন অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং অফিসার মুজিবুল আলম বলেন, ‘জেলা নির্বাচন অফিসার বরাবর দেওয়া অভিযোগের বিষয়ে অবগত হয়েছি। কেউ যেন নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে না পারে, সেজন্য নির্বাচনী এলাকায় কঠোর নজরদারি রয়েছে। নির্বাচনকে সুষ্ঠুভাবে সমাপ্ত করতে সব ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। কেউ দাঙ্গা-হাঙ্গামা সৃষ্টি করে ভোটের পরিবেশ নষ্ট করতে চাইলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
এ বিষয়ে বাঘা থানার ওসি সাজ্জাদ হোসেন বলেন, সরকার দলীয় নৌকার প্রার্থীর নির্বাচনী অফিস পুড়িয়ে দেওয়ার বিষয়ে অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করা হচ্ছে। এ ছাড়া স্বতন্ত্র প্রার্থীর লোকজনকে প্রচারনা বাধার বিষয়ে নির্বাচন অফিস থেকে একটি অভিযোগ আমাদের কাছে দিয়েছিলেন। সেটার বিষয়েও তদন্ত করা হচ্ছে।
এছাড়া এ নির্বাচনে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন কম্পিউটার প্রতীকে কামাল হোসেন, নারিকেল গাছ প্রতীকে সাইফুল ইসলাম এবং মোবাইল প্রতীক নিয়ে ইসরাফিল হোসেন।
উল্লেখ্য, পৌরসভায় মোট ভোটার ৩১ হাজার ৬৬৯ জন। এরমধ্যে পুরুষ ভোটার ১৫ হাজার ৮১২ এবং মহিলা ভোটার ১৫ হাজার ৮৫৭ জন।