সর্বজন বিপ্লবি পার্টির আহ্বায়ক প্রবীণ প্রকৌশলী ইনামুল হককে ঢাকার শাহবাগ এলাকায় লাঞ্চিত করা ব্যাক্তির পরিচয় পাওয়া গেছে। সে মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার কাজিপুর ইউনিয়নের বেতবাড়িয়া গ্রামের আফতাব আলীর ছেলে ও ইউনিয়ন কৃষকলীগের সভাপতি বানি আমিন।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, সম্ভ্রান্ত পরিবারের ছেলে বানি আমিনের চার ভাই ও চার বোনের মধ্যে সবার ছোট। অনেকটাই ভবঘুরে তার পিতার অনেক জমিজমা থাকায় সেগুলো দেখাশুনা করে সংসার চালান তিনি। তবে তিনি এলাকায় তেমন কারোর সাথে মিশতেন না। ২০০২ সালে তার নামে একটি রাজনৈতিক ভাবে হত্যা মামলা দেয়া হয়েছিলো। পরবর্তীতে সে মামলা থেকে অব্যহাতি পায় সে বলে জানায় স্থানীয়রা।
বানি আমিনের বড় ভাই হাজী রেজাউল হক বলেন,তার ছোট ভাই ঢাকায় আওয়ামী লীগের সম্মেলনে গিয়েছিলো। সেখানে কি হয়েছে তার জানা নেই। তবে কাউকে লাঞ্ছিত কিংবা মারধর করে থাকলে সে অন্যায় করেছে।
বেতবাড়িয়া গ্রামের বাসিন্দারা বলেন,সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একজন প্রবীন প্রকৌশলীকে মারধর করার ঘটনাটি এলাকাবাসী দেখেছেন এবং ক্ষুদ্ধ হয়েছে। কেউ অপরাধী হলে তাকে আইনে কাছে সোপর্দ করা উচিত কিন্তুু বানি আমিন মারধর ও লাঞ্চিত করে অন্যায় করেছেন।
জেলা কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক ওয়াসিম সাজ্জাদ লিখন বলেন, বানি আমিন কৃষকলীগ কাজিপুর ইউনিয়ন কৃষকলীগের সভাপতির দায়িত্বে রয়েছে।
কাজিপুর ইউনিয়ন কৃষকলীগের সভাপতি বানি আমিন বলেন,তার মানষিক অবস্থা ভালো নেই। এই মুহুর্তে তিনি কোন কথা বলবেন না। দুএকদিনের মধ্যে ঢাকার ঘটনার বিস্তারিত সাংবাদিকদের অবগত করবেন।
গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো: আবদুর রাজ্জাক বলেন, বানি আমিনের নামে বর্তমানে গাংনী থানায় কোন মামলা নেই। তবে ইতোপূর্বে একটি হত্যা মামলার আসামি ছিলো এবং সে মামলায় খালাস পেয়েছে বলে শুনেছি।
উল্লেখ্য : গত শনিবার (২৪ ডিসেম্বর) বিকালে রাজধানীর শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে নিজ দলের পক্ষে প্রচারপত্র বিতরণ করতে গিয়ে বানি আমিনের হাতে লাঞ্ছিত ও মারধরের শিকার হয়েছেন দেশের প্রবীণ প্রকৌশলী ম ইনামুল হক। মারধরের ঐ ঘটনাটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়।