গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় ৭৫টি মাধ্যমিক স্তরের বিদ্যালয়ে বিজ্ঞানাগার না থাকায় বিজ্ঞান বিভাগে অধ্যায়নরত শিক্ষার্থীরা হাতে-কলমে শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
জানা গেছে, মাধ্যমিক স্তরে নবম শ্রেণি থেকে শত শত শিক্ষার্থী বিজ্ঞান বিভাগে অধ্যয়ন করে ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ারসহ বিভিন্ন টেকনিক্যালে নিজেদের প্রবেশের পথ তৈরি করতে শুরু করতে প্রত্যয়ী হন। শুরু থেকেই তাদের প্রত্যাশা পুরন হয় বিজ্ঞানাগারে হাতে-কলমে বিভিন্ন প্র্যাকটিক্যালের সাথে প্রাকটিস করে। সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় এ পথ অনেকটাই বন্ধ। কারণ হিসেবে দেখা গেছে উপজেলার ৮৮টি মাধ্যমিক স্তরের বিদ্যালয় থাকলেও ৭৫টির মধ্যে বিজ্ঞানাগার নেই। অথচ প্রতিটি বিদ্যালয়ে রয়েছে বিজ্ঞান বিভাগ, বিজ্ঞান শিক্ষক, বিজ্ঞানাগার এ্যাসিসট্যান্টসহ সংশ্লিষ্ট স্টাফ। এ ছাড়া সরকারী ভাবে প্রদান করা হয়েছে লাখ লাখ টাকার বিজ্ঞানাগারের যন্ত্রপাতি। যা কিনা বিজ্ঞানাগার না থাকায় বাক্স বন্ধি অবস্থায় নষ্টের পথে। রয়েছে বিজ্ঞান বিভাগে অধ্যয়ন করার মত পর্যাপ্ত শিক্ষার্থী। খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে শিক্ষার্থীরা বিজ্ঞান বিভাগে লেখা-পড়া করলেও বিজ্ঞানাগার ও ব্যবহৃত যন্ত্রপাতির সাথে তারা পরিচিত নয়। অথচ এসএসসি পরীক্ষা দিয়ে সেন্টারে গিয়ে প্রাকটিক্যালে হাজিরা দিয়ে অর্থের বিনিময়ে অর্জন করে ভালো নম্বর। ফাইনাল পরীক্ষা ফলাফলে পেয়ে যায় জিপিএ ৫ সহ বিভিন্ন গ্রেড। পরবর্তী এ সকল শিক্ষার্থীরা ভালো কলেজে ভর্তির সুযোগ পেলেও এইচএসসি পরীক্ষায় সন্তোষজনক ফলাফল অর্জন করতে না পারায় তাদের অধিকাংশের ভাগ্যে জোটে না ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, পাবলিক বিশ^বিদ্যালয়সহ ভালো টেকনিক্যাল লাইনে পড়ার সৌভাগ্য। এনিয়ে অভিভাবক আঞ্জুয়ারা, রেজাউল কবির, আবদুর রউফ, এমদাদুলসহ অনেকে আক্ষেপ করে বলেন উপজেলা মাধ্যমিক স্তরের যে সকল বিদ্যালয়ে বিজ্ঞানাগার নেই সেখানে বিজ্ঞান বিজ্ঞান খোলার অনুমতি দেয়া হয় কেন তা বোধগম্যের বাইরে। এ সকল বিদ্যালয়ের বিজ্ঞান বিভাগ বাতিল করা উচিৎ। বিজ্ঞান বিভাগের নাম করে মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে স্টাফ নিয়োগ দিয়ে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ পকেট ভারি করবেন অথচ সরকারী অর্থ অপচয় হবে, বিজ্ঞানাগার স্থাপন করবেন না এটা মেনে নেয়া যায়না। তারা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও শিক্ষাবোর্ডের হস্তক্ষেপ দাবী করেন। এনিয়ে কয়েকজন প্রধান শিক্ষকের সাথে কথা হলে তারা বলেন, সরকারী ভাবে বিজ্ঞানাগার নির্মাণ করে না দেওয়া হলে তাদের বিজ্ঞানাগার স্থাপনের অর্থ কোথায়। তারা দাবী করেন বিজ্ঞানাগার না থাকলেও পর্যাপ্ত যন্ত্রপাতি তাদের বিদ্যালয়ে রয়েছে। এ ব্যাপারে মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মু: মাহমুদ হোসেন মন্ডলের সাথে কথা বললে তিনি মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানান।