ঝিনাইদহ কালীগঞ্জের মোবারকগঞ্জ চিনিকলটি গত ২৩ ডিসেম্বর বিকাল ৪ টায় আনুষ্ঠানিকভাবে ২০২২- ২০২৩ মৌসুমের আখ মাড়াই চালু হয়। চালুর দুদিন পার হতে না হতেই ২৫ ডিসেম্বর ভোর সাড়ে টারদিকে পাওয়ার টারবাইনে যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেয়। ফলে বন্ধ হয়ে যায় কারখানার আখ মাড়ায়সহ সকল কার্যক্রম। পাশাপাশি ৪৮ টি আখ ক্রয় কেন্দ্রে আখ ক্রয় বন্ধ থাকে ও সে সব কেন্দ্রে ক্রয় কৃত আখ খোলা আকাশের নিচে পড়ে শুকাতে থাকে। এত করে চিনিকলটি মোটা অংকের টাকা ক্ষতি হল। মিলটির যান্ত্রিক ত্রুটি কাটিয়ে মঙ্গলবার বেলা ১১ টার দিকে পুনরায় আখ মাড়াই কার্যক্রম শুরু হয়। বড় ধরনের যান্ত্রিক ত্রুটির প্রকৃত কারণ উদঘাটনে মোচিক প্রশাসন ৩ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে ইতিমধ্যে। তদন্ত কমিটির প্রদান করা হয়েছে জাহিদুল ইসলাম, জি এম(অর্থ)মোচিক।অন্য দুই জন হলেন আতাউর রহমান, ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার এবং আশেকুজ্জামান মহাব্যবস্থাপক প্রশাসন,মোচিক। মোচিক প্রশাসনের পক্ষ থেকে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য তদন্ত কমিটিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
মোবারকগঞ্জ চিনিকলটি ২৪ ঘন্টায় আখ মাড়ায় হচ্ছে ১৫০০ মেট্রিক টন,যা থেকে প্রায় ৭৫ টন চিনি উৎপাদন থাকে থাকে। এ বছর মিল চালুর ২৮ ঘন্টার মধ্যে চিনি বের হওয়ার রেকর্ড অর্জন হয়েছে। মিলের বেশ কয়েকজন শ্রমিক কর্মচারীর সাথে কথা বলে যানা যায়,টারবাইনের যে ত্রুটির কথা বলা হচ্ছে তা দায়িত্বশীলদের অবহেলা এবং অসৎ উদ্দেশ্য চরিতার্থ করতে করা হয়েছে কিনা তা ভালো করে খতিয়ে দেখা দরকার। তবে শুরুতেই যান্ত্রিক ত্রুটি চিনি উৎপাদন প্রক্রিয়াকে দারুণভাবে ব্যাহত করেছে তা শুধু নয়, আর্থিক ভাবে মোটা অংকের টাকা চিনিকলটি ক্ষতিগ্রস্থ হযেছে।
এ ব্যাপারে মোবারকগঞ্জ সুগার মিলের শ্রমিক ও কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি গোলাম রসুল বলেন,মিলের এই ধরনের যান্ত্রিক ত্রুটি হওয়ার কথা নয়, এটা অবশ্য খতিয়ে দেখা উচিত । প্রতিষ্টানকে ধ্বংস করতে কুচক্রী একটি মহল পরিকল্পিত ভাবে এ ঘটনা ঘটাতে পারেন বলে অনেকে শ্রমিক ধারণা করছেন। আশাকরি সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে তা স্পষ্ট হবে।দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি জানাচ্ছি।
মোবারকগঞ্জ সুগার মিলের ব্যাবস্থাপনা পরিচালক রাকিবুর রহমান খান জানান,৫৭ বছরের পুরাতন টারবাইনে যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দিলে মাড়াই বন্ধ হয়ে যায়। ত্রুটি সারাতে আমরা দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহন করি এবং মঙ্গলবার তা আবার পুনরায় চালু করা হয়।ত্রুটির কারণ উদ্ধার করতে মোচিক প্রশাসনের পাশাপাশি হেড অফিস থেকেও তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে বলেও তিনি জানান।