রাজশাহীর পুঠিয়ায় ভালুকগাছি শিলমাড়িয়া দুই ইউনিয়ন পরিষদের আগামী ২৯ ডিসেম্বর ভোটগ্রহণ হবে। কিন্তু শেষ মুহূর্তে রাত নামলেই হেলমেট বাহিনীর আতঙ্কে মানুষ দিশেহারা হয়ে পড়েছে। প্রার্থীদের নির্বাচনী এলাকায় অফিসে অগ্নিসংযোগ ভাঙচুর ককটেল বিস্ফোরণ ও প্রকাশ্যে অস্ত্র মহড়ায় ভোটারদের মধ্যে ভয়ভীতি দেখা দিয়েছে। তবে এ বিষয়ে ক্ষমতাসীন দলের মনোনীত প্রার্থী ও স্বতন্ত্রপ্রার্থীরা একে অপরের ওপর পাল্টা-পাল্টি অভিযোগ তুলছেন। ভালুকগাছি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদে স্বতন্ত্রপ্রার্থী একরামূল হক বলেন, নৌকার প্রার্থীর লোকজন আমার ধোকড়াকুল বাজারে (২৭ ডিসেম্বর) মঙ্গলবার রাত আটটার পর হেলমেট বাহিনী তা-বে চালায়ে আমার নির্বাচনী অফিস ভাঙচুর করে,বাজারের কয়েকটি দোকানপাটে ভাঙ্চুল লুটপাট করেছে। গত দুই রাত হতে হেলমেট পরিহিত একটি বাহিনী নির্বাচনী এলাকায় ঘুরে বিভিন্ন স্থানে অস্ত্র হাতে কোনো না কোনো প্রার্থীর ভোটের অফিসে ভাঙচুর ও তা-ব করছে। কার্তিকপাড়া ও মোল্লাপাড়া বাজারে ককটেল ফাটিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি করছে। শিলমাড়িয়া ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে স্বতন্ত্রপ্রার্থী ও স্থানীয় বিএনপি নেতা আবু হায়াত বলেন, নির্বাচন এলাকায় বহিরাগত লোকজন হেলমেট পরে ঘুরছে। এরা আওয়ামী লীগ প্রার্থীর হয়ে বিভিন্ন স্থানে ককটেল বিস্ফোরণ করে এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি করছে। আবু হায়াত আরও বলেন, আজ রাতুয়াল গ্রামের মাখনের নেতৃত্ব ১০/১২টি বাইক নিনে ভোটারদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোট কেন্দ্রে না যাওয়ার হুমকি দিয়ে আসছে। হয়তো আগামীকাল ভোটারা ভয়ে ভোট দিতে যাবে না। সাধারণ লোকজন যেন সুষ্ঠুভাবে ভোটকেন্দ্রে যেতে পারেন এবং এলাকায় আইনশৃঙ্খলা বজায় থাকে সে জন্য মঙ্গলবার উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। শিলমাড়িয়া ইউপির বর্তমান চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী সাজ্জাদ হোসেন মুকুল বলেন,ভোট বানচাল করতে স্বতন্ত্রপ্রার্থী আবু হায়াত জামায়াত-শিবির ও বিএনপির ক্যাডারদের ভাড়া করে এই এলাকায় আনছেন। বুধবার তার বাড়িতে ভাড়াটিয়া বাহিনীর লোকজন জমায়েত করে রেখেছেন। রাতে আমার নির্বাচনী এলাকায় তা-ব চালানো জন্য। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা জয়নাল আবেদীন বলেন, শেষ মুহূর্তে নির্বাচনী মাঠে কিছু জটিলতা দেখা দিয়েছে। এ বিষয়ে দুজন চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী লিখিত ও মৌখিক অভিযোগ দিয়েছেন। আমরা বিষয়গুলো থানা-পুলিশের সহায়তায় নিরসন করার চেষ্টা করছি।
এ ব্যাপারে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহরাওয়াদী হোসেন বলেন, নির্বাচনীয় এলাকায় ছোটখাটো কয়েকটি ঘটনা ঘটেছে। আমরা তৎক্ষনিক ভাবে আইনশৃঙখলাবাহিনী ঠিক করে ফেলেছি। এখন নির্বাচনীয় এলাকা কোনো রকম বিশৃঙ্খলা নেই।