মাননীয় প্রধান মন্ত্রী বলে ছিলেন দেশের এক ইঞ্চি জমি যেন অনাবাদী না থাকে। এ কথায় উদ্বুদ্ধ হয়ে ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর মডেল থানা পুলিশ থানা বাউন্ডারির মধ্যে পতিত জমি খন্ড খন্ড করে বিভিন্ন ধরনের সবজি চাষ করে সবুজের বিপ্লব ঘটিয়েছেন। পাশাপাশি থানা কর্তৃপক্ষ থানা চত্বর শ্রীবৃদ্ধি করার লক্ষ্যে রাস্তার দু'ধারে বিভিন্ন প্রজাতির ফুলের গাছও লাগিয়েছেন। এক দিকে বিভিন্ন ধরণের সবজি খেত অন্যদিকে ফুলের বাহারি বাগান। সব মিলিয়ে থানা বাউন্ডারির মধ্যকার পরিবেশটি মনোরম পরিবেশের সৃষ্টি করেছে। এমন পরিবেশ দেখে থানাতে সেবা নিতে আসা বিভিন্ন জায়গার লোকজনসহ এলাকাবাসিদের মুগ্ধ করেছে। থানা বাউন্ডারির মধ্যকার পতিত জমি অফিসার থেকে শুরু করে পুলিশ সদস্যরা ছোট ছোট খাটাল তৈরী করে যে যার মত পছন্দের শীতকালিন সবজি নিজ হাতে চাষ করেছেন। সকাল ও বিকাল সময় পেলেই পুলিশ সদস্যরা স্ব-স্ব সবজি ক্ষেত পরিচর্যায় নেমে পড়েন। এদৃশ্য দেখে মনে হয় কে কত ভাল সবজি চাষ করতে পারেন তাদের মধ্যে প্রতিযোগীতা চলছে। এই খন্ড খন্ড জমিতে এখন শোভা পাচ্ছে লাল শাক, সবুজ শাক, শালগম, আলু, বেগুন, মুলা, ঢেঁড়স, কপি, শিম, লাও, মিষ্টিকুমড়াসহ নানা জাতীয় শীতকালীন সবজি।
এ বিষয়ে কোটচাঁদপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মঈন উদ্দিন কালের কন্ঠকে বলেন- মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন দেশের প্রতিটি ইঞ্চি জমি কাজে লাগাতে হবে। এই কথায় উদ্বুদ্ধ হয়েই আমরা সকলেই থানা অভ্যন্তরে পতিত জমি কাজে লাগানোর চেষ্টা করেছি বা করছি। এতে করে আমরা যেমন বিষ মুক্ত সবজি নিজ হাতে তুলে খেতে পারছি। অন্যদিকে অবসর সময় সবজি ক্ষেত পরিচর্যার মাধ্যমে ভালো সময় কাটছে। ওসি (তদন্ত) জগন্নাথ চন্দ্র বলেন- আমি নিজেই ২টি খাটালে লালশাক, বেগুন, লাওসহ বিভিন্ন ধরনে আবাদ করেছি। নিজ হাতে পরিচর্যা করা গাছে ফল ফুল আসলে ভীষণ ভাল লাগে। তাছাড়া কীটনাষক মুক্ত তরতাজা সবজিও পাচ্ছি এখান থেকে। তিনি বলেন, ইচ্ছে থাকলে বাসা বাড়ির আঙ্গীনায় এমন পতিত জমি থাকলে আমরা সকলেই মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর আহ্বান অনুযায়ী সামান্য শ্রমেই এ ধরণের সবজিসহ অন্যান্য চাষ করতে পারি। এ বিষয়ে কোটচাঁদপুর শহরের কাজী হয়াত আহমেদ জুয়েল বলেন- কিছু দিন আগে একটি কাজে আমি থানায় গিয়েছিলাম। থানার আঙ্গিনার প্রাকৃতিক পরিবেশ দেখে আমার ভীষণ ভাল লেগেছে। আর তাই দেখেই আমি আমার বাড়ীর আঙ্গীনায় শীতকালিন সবজি’র চাষ করেছি।