আইন-কানুনের তোয়াক্কা না করে পাবনার চাটমোহরে শুরু হচ্ছে ফসলি জমিতে পুকুর খনন আর ইটভাটায় প্রকাশ্যে কাঠ পোড়ানো। জনবসতি এলাকায়,আবাদি জমিতে,শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পাশে অবৈধভাবে ইটভাটা স্থাপন করা হয়েছে। ইটভাটার কালো ধোঁয়ার দূষণে স্বাস্থ্য ঝুঁকির পাশাপাশি গাছগাছালি,ফলফলাদি ও ফসলের মারাত্মক ক্ষতিসহ কৃষি জমি কমে যাচ্ছে। ভ্রাম্যমান আদালত বসিয়েও বন্ধ করা যাচ্ছে না এসব অবৈধ ইটভাটা। এসব ইট ভাটায় অবাধে পোড়ানো হচ্ছে কাঠ। প্রতিদিন উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় শত শত গাছ কেটে ইটভাটায় সরবরাহ করছে একটি চক্র। ফলে পরিবেশ হচ্ছে বিপন্ন। অপরদিকে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ফসলি জমিতে পুকুর খনন করে অথবা ছোট পুকুর বড় আকারে খনন করে ইটভাটায় মাটি বিক্রি করা হচ্ছে। বিভিন্ন ইটভাটায় মাটি বিক্রি করছে একটি সিন্ডিকেট।
জানা যায়,চাটমোহর উপজেলার ধর্মগাছা,বওশা,চরসেনগ্রাম,গুনাইগাছা,বোয়ালমারী,হরিপুরসহ বিভিন্ন স্থানে কৃষি জমিতে,জনবসতি এলাকায়, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও বাজারের পাশে স্থাপন করা হয়েছে ইটভাটা। এসকল ইটভাটার কোন প্রকার অনুমোদন নেই। নেই বৈধ কোন কাগজপত্র। কৃষিজমিতে ইটভাটা স্থাপনের কারণে যেমন আবাদি জমি কমতে শুরু করেছে অপরদিকে জমি হারাচ্ছে তার উর্বরতা। পাবনা পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিদর্শক নজরুল ইসলাম বলেছেন,পাবনা জেলায় কোন ইটভাটাকেই বর্তমানে পরিবেশ অধিদপ্তর থেকে ছাড়পত্র দেয়া হয় নাই। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোছাঃ মমতাজ মহল জানান,ইতোমধ্যে ইটভাটায় কাঠ পোড়ানোসহ লাইসেন্স না থাকায় উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে জরিমানা করা হয়েছে।