রাজশাহীর তানোরে অবশেষে প্রশাসনের হস্তক্ষেপে পার্শ্বের গভীর নলকুপ থেকে প্রান্তিক কৃষক আবদুল গনির গমের জমিতে সেচের পানি দেয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে আবদুল গনি তার গমের জমিতে সেচের পানি পেয়েছেন। ফলে, মরতে বসা আবদুর গনির ৫ বিঘা জমির গমের আবাদ প্রশাসনের সু-দৃষ্টি ও হস্তক্ষেপে বেচে গেলো।
তবে, ওই গভীর নলকুপটি তার ব্যক্তিগত দাবি করে অপারেটর কৃষ্ণপুর গ্রামের প্রভাবশালী আবদুল মান্নান প্রশাসনের আদেশ নির্দেশ অমান্য করে আবদুর গনির গমের জমিতে সেচ প্রদান করতে রাজি না হওয়ায় পার্শ্বে বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের গভীর নলকুপ থেকে গমের জমিতে সেচ প্রদান করা হয়েছে।
প্রান্তিক কৃষক আবদুল গনি বলেন, গমের জমিতে সেচের পানির জন্য তানোর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ বরাবর লিখিত আবেদন করেছিলাম। কিন্তু প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কোন ব্যবস্থা গ্রহন করছিলেন না।
পরে পত্রিকায সংবাদ প্রকাশের পর গত মঙ্গলবার বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ তানোর জোনের সহকারী প্রকৌশলী মাহাফুজুর রহমান ঘটনাস্থলে এসে অপারেটর আবদুর মান্নানকে সেচ দিতে বলেন।
কিন্তু আবদুল মান্নানকে আমার জমিতে সেচ দেয়াতে রাজি করাতে না পারায় পার্শ্বের গভীর নরকুপ অপারেটর সাদেকের নলকুপ থেকে সেচ প্রদানের ব্যবস্থা করেন। বৃহস্পতিবার আমার গমেরজমিতে সেচের পানি পেয়েছি বলেও জানান প্রান্তুিক কৃষক আবদুল গনি।
এব্যাপারে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ তানোর জোনের সহকারী প্রকৌশলী মাহাফুচমজুর রহমান বলেন, কৃষক আবদুল গনির গমের জমিতে সরেজমিন গিয়ে পার্শ্বের গভীর নলকুপ থেকে সেচ প্রদানের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, তানোর উপজেলার কৃষ্ণপুর গ্রামের জৈনক ব্যক্তির পুত্র প্রভাবশালী অপাররটর আবদুল মান্নানের সাথে একই গ্রামের জৈনক ব্যক্তির পুত্র আবদুল গনির মধ্য জমিজমা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে দ্বন্দ চলে আসছে।
এরই সুত্র ধরে অপারেটর আবদুর মান্নান আবদুল গনির কৃষ্ণপুর মাঠের ৫ বিঘা গমের জমিতে সেচের পানি দিচ্ছিমিলেন না। ফলে, সেচের অভাবে মরতে বসেছিলো আবদুর গনির ৫ বিঘা জমির গম।
এবিষয়ে দৈনিক সোনালী সংবাদ পত্রিকায় একটি সংবাদ প্রকাশের পর তানোর উপজেলা প্রশাসন ও বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের টনক নড়ে এবং