আবুল খায়ের গ্রুপ নামে একটি বেসরকারি কোম্পানীতে প্রায় ৭ বছর যাবত বিক্রয় প্রতিনিধি হিসেবে চাকুরি করেন সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের শ্রীধরকাটি গ্রামের মৃত বাবর আলী শিকারীর ছেলে জিয়াউর রহমান শিকারী। সম্প্রতি বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডে গ্রামপুলিশ হিসেবে নিয়োগ পান তিনি। অথচ পূর্বের চাকুরি অব্যাহত রেখে দায়িত্ব পালন করছেন ঢাকার গাজীপুর এলাকায়। আর জিয়াউর রহমানের স্থলে গ্রামপুলিশের পোশাক পরে ডিউটি করছেন তার বড় ভাই আসাদুজ্জামান শিকারী।
জানা গেছে, নিয়োগ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে গত ১৩ অক্টোবর গ্রামপুলিশ হিসেবে নিয়োগ পান জিয়াউর রহমান শিকারী। নিয়োগ পাওয়ার পর যোগদান করেই তিনি চলে যান পূর্বের কর্মস্থল গাজীপুরে। আর তার পরিবর্তে প্রক্সি দিতে থাকেন বড় ভাই আসাদুজ্জামান শিকারী। গত বৃহস্পতিবার কালিগঞ্জ থানায় গ্রামপুলিশের পোশাক পরে সাপ্তাহিক হাজিরা দিতে আসেন আসাদুজ্জামান শিকারী। বিষয়টি জানাজানি হলে থানার উপপরিদর্শক মোরশেদ আলী তাকে থানা চত্ত্বর থেকে বের করে দেন। এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।
এ ব্যাপারে আসাদুজ্জামান শিকারির নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার ভাই জিয়াউর রহমান চিকিৎসার জন্য ঢাকায় গেছে। এজন্য বিষ্ণুপুর ইউপি চেয়ারম্যান তাকে ডিউটি করতে বলেছেন।
গ্রামপুলিশ জিয়াউর রহমান শিকারির সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি আবুল আবুল খায়ের গ্রুপে চাকরি করেন এবং বর্তমানে তিনি ঢাকার গাজীপুরে এলাকায় আছেন বলে জানান। পরবর্তীতে সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে গ্রামপুলিশ হিসেবে যথাযথ ভাবে দায়িত্ব পালন না করে গাজীপুরে অবস্থান করার কারণ এবং একই সাথে দু’টি চাকরি করা যায় কী না জানতে চাওয়ার সাথে সাথে তিনি মুঠোফোনের সংযোগ বিচ্ছিন করে দেন।
ঘটনার সত্যতা জানার জন্য বিষ্ণুপুর ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলমের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তার সাথে কথা বলা সম্ভব হয় নি।