ভোলার মেঘনায় ডুবে যাওয়া সাগর নন্দিনী-২ নামের জাহাজটি গত ৬ দিনেও উদ্ধার করা যায় নি। মেঘনায় ডুবে যাওয়া জাহাজ সাগর নন্দিনী-২ উদ্ধার কাজ শুরু হয়েছে। উদ্ধার কাজে অংশ নিয়েছে উদ্ধারকারী জাহাজ জোহুর ও হুমায়ারা।গত রোববার ভোর রাতে চট্রগ্রাম থেকে ১১ লাখ ৫০ হাজার লিটার তেল নিয়ে ভোলার মেঘনার গভীর চ্যানেল দিয়ে জাহাজটি চাঁদপুরের উদ্দেশ্যে যাচ্ছিল। পদ্মা ওয়েল কোম্পানির সাগর নন্দিনী-২ নামের তেল ভর্তি এজাহাজটি। ঘন কুয়াশার কারণে ভোলার মেঘনার তুলাতলী পয়েন্টে অপর একটি জাহাজের সঙ্গে থাক্কা লেগে তলা ফেটে ডুবে যায় সাগর নন্দিনী-২। বৃহস্পতিবার ২৯ ডিসেম্বর সকাল থেকে পুলিশ, কোস্টগার্ড ও বিআইডব্লিউটি’র ৫০ সদস্যের ডুবুরি ও বিশেষজ্ঞ দল জাহাজ উদ্ধারের কাজে অংশ নেয়। বিআইডব্লিউটিএ পরিচালক মো. শাজাহান এতথ্য নিশ্চিত করে বলেন, আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্ধার অভিযান শুরু হয়েছে। তবে সকাল থেকে ঘন কুয়াশা ও স্রােতের কারণে উদ্ধার অভিযানে কিছুটা বিঘ্ন ঘটছে। বিআইডব্লিউটিএ সূত্রে আরও জানা যায়, জাহাজটি পানির তলদেশ থেকে উদ্ধার কার্যক্রম শুরু করতে আরও সময় লাগতে পারে। এদিকে ধাক্কা লেগে জাহাজের তলদেশ ফেটে তেল বের হয়ে যাওয়ায় মেঘনায় তেল আর পানি একাকার হয়ে গেছে। ডুবে যাওয়া জাহাজের তেলে মেঘনার পরিবেশ দূষণ রক্ষায় সকাল থেকেই কাজ চলছে। কোস্টগার্ড দক্ষিণ জোনের একটি দল ল্যামর মেশিন দিয়ে বিশেষ প্রযুক্তির ব্যবহার করে নদী থেকে তেল অপসারণ করছে। কোস্টগার্ড দক্ষিণ জোনের স্টাফ অফিসার লেফটেন্যান্ট কমান্ডার আকিফ খান রিদম বলেন, জাহাজের নিরাপত্তা, তেল অপসারণ ও উদ্ধার কাজে অংশ নিয়েছে কোস্টগার্ড। জাহাজটি উদ্ধার কাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাদের এউদ্ধার অভিযান অব্যাহত থাকবে। পরিবেশ অধিদপ্তরের উপণ্ডসচিব আবদুল হালিম জানান, দুর্ঘটনা কবলিত জাহাজের তেল পানিতে মিশে গেছে। আমরা পানির নমুনা সংগ্রহ করে গবেষণাগারে পাঠিয়েছি। রিপোর্ট আসতে আরও ৫ দিন সময় লাগবে। তখন ক্ষতির পরিমাণ বলা যাবে।