খুলনার ডুমুরিয়ায় এক রাতে ৫টি বাড়ি ও ১টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে দূর্র্ধষ চুরি সংগঠিত হয়েছে। শনিবার ভোর রাতে উপজেলার খর্ণিয়া এলাকায় এ চুরির ঘটনা ঘটেছে। এতে স্বর্ণালংকার,নগত টাকা, মোটর সাইকেল, তৈজষ পত্রসহ ২০ লাখ টাকার মালামাল চুরি করে পালিয়েছে চোরেরা। খবর পেয়ে খুলনা জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(বি-সার্কেল) মুহাসিন আল মুরাদ ঘটনাস্হল পরিদর্শন করেছেন।
ভূক্তভোগী পরিবার,স্হানীয় বাসিন্দা ও থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ডুমুরিয়া উপজেলার খর্ণিয়া গ্রামে শনিবার ভোর রাতে কোলাক্সেবল গেট ও ঘরের দরজার তালা ভেঙ্গে অজ্ঞাতনামা চোরেরা হাফিজুর রহমান শেখের ঘরে ঢুকে নগত দেড় লাখ টাকা,দেড় ভরি স্বর্ণালংকার ও ৫ ভরি রুপার অলংকার,তার ভাই আবুল বাসারের ঘর থেকে নগত ২০ হাজার টাকা,৪ভরি স্বর্ণালংকার এবং ১টি ১১০ সিসি পালসার মোটর সাইকেল চুরি করে নিয়ে যায়। অপর দিকে একই এলাকার ব্যবসায়ী সুমন পাল এর ঘরের দরজা ভেঙ্গে নগত দেড় লাখ টাকা ৫ ভোরি স্বর্ণালংকার,২টি মোবাইল ফোন সেট এবং উত্তম পালের ঘরের দরজার তালা ভেঙ্গে ৭ভোরি স্বর্ণালংকার নগত ৫ হাজার টাকা চুরি করা হয়।এছাড়া এলাকার দেবপ্রসাদ পালের গোয়াল ঘরের তালা ভেঙ্গে সেখানে রাখা মোটর সাইকেল এর তালা খোলার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয় বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা।
এছাড়া ওই রাতে খুলনা-সাতক্ষীরা মহাসড়কের পাশে খর্ণিয়া বাজারে বাবলু খানের খান ইলেক্টোনিক্স নামক একটি ক্রোকারিজ ও তৈজসপত্র বিক্রি প্রতিষ্ঠানের বিল্ডিং এর পিছন পাশের ভেন্টিলেটর ভেঙ্গে চোর প্রবেশ করে দোকানের ক্যাশ ড্রয়ারে থাকা ২লাখ টাকা,ফ্রাইফেন,ব্লিন্ডার মেশিন,আইরন,ইন্ডাকশন চুলাসহ বিভিন্ন তৈজষ পত্র চুরি করে পালিয়ে যায় চোরেরা।ভূক্তভোগি পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন তারা শুক্রবার রাতের খাবার খেয়ে রাত ১১ টার দিকে ঘুমিয়ে পড়ে। সেই সুযোগে ভোর ৪ টার মধ্যে চোরেরা তাদের ঘরে ঢুকে জিনিষপত্র টাকা পয়সা চুরি করে পালিয়ে গেছে। সরেজমিনে পরিদর্শনে আসা স্হানীয় খর্ণিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শেখ দিদারুল হোসেন চুরির বিষয়ে বলেন,স্হানীয় লোকের সহযোগীতায় বহিরাগত চোরেরা এ চুরি করে থাকতে পারে। এ বিষয়ে থানা অফিসার ইনচার্জ(তদন্ত) মুক্ত রায় চৌধুরী জানান,জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(বি-সার্কেল)সহ তিনি ঘটনাস্হলে গিয়ে ভূক্তভোগীদের অভিযোগ দেয়ার কথা বলে আসছি। এখনও কোন লিখিত অভিযোগ পাইনি। পেলে আইনগত ব্যবস্হা নেয়া হবে। ঘটনার তদন্ত অব্যাহত আছে।