কুড়িগ্রামে মুলধারা তাবলিগ জামাতের ৩ দিনব্যাপী মিনি বিশ্ব এস্তেমা বা কুড়িগ্রাম জেলা এস্তেমা আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে লাখো মানুষের আমিন আমিন ধ্বনিতে শেষ হয়েছ্
েকুড়িগ্রাম জেলা কারাগার সংলগ্ন খোলা ময়দানে ৩ দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত এই এস্তেমা শনিবার দুপুর ১২ টা ৫ মিনিটের দিকে শুরু হওয়া ২৪ মিনিটের আখেরী মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হয়। আখেরি মোনাজাত পরিচালনা করবেন মুলধারা তাবলিগ জামাতের বাংলাদেশ মারকাজ কাকরাইল মসজিদের মুরব্বী মাওলানা আশরাফ আলী।
৩ দিনব্যাপী এই এস্তোমা থেকে ৩ চিল্লা, বিদেশ, ১ চিল্লা মিলে মোট ৬৭ টি জামাত আল্লাহর রাস্তায় বের হয়েছে। এরমধ্যে ৩ চিল্লার জামাত ৭ টি, ১ চিল্লার জামাত ৩৩ টি, বিদেশী জামাত ২৬ টি ও বোবাদের জামাত ১ টি আল্লাহর রাস্তায় বের হয়।
জানা গেছে, বৃহস্পতিবার ২৯ ডিসেম্বর ফজরের নামাজের পর থেকে এস্তেমা কার্যক্রম শুরু হয়। বৃহস্পতিবার এই মিনি বিশ্ব এস্তেমা শুরু হলেও বুধবার থেকেই এস্তোমা ময়দানে আসেন ঢাকাসহ দেশি-বিদেশি তাবলিগ জামাতের সাথীরা।
এস্তেমায় উদ্বোধনী বয়ান পেশ করেন ভারতের মহারাষ্ট্রের তাবিলিগ জামাতের মুরব্বী জামির। বৃহস্পতিবার মাগরিব নামাজের পর বয়ান পেশ করেন ঢাকার সাভারের তাবিলগ মরকাজের সাথী জিয়াবীন কাশিম।
এরপর শুক্রবার ফজরের নামাজের পর বয়ান পেশ করেন রংপুরের তাবলিগ জামাতের সাথী মুফতি ইউসুফ। জুম্মার নামাজের পর বয়ান পেশ করেন দিনাজপুরের তাবলিগ জামাতের সাথী এডিসি মেহেদী হাসান।
বয়ানে সারা বিশ্বের মানুষের হেদায়েত প্রাপ্তি ও জাহান্নামের শাস্তি থেকে পরিত্রাণের জন্য দ্বীনি আলোচনা করাসহ দুনিয়ার জিন্দী থেকে আখেরাতের দীর্ঘস্থায়ী জিন্দীকে সুখময় করার জন্য ইমান ঠিক রাখার নানা দিক আলোচনা করা হয়।
এছাড়াও আগামী নতুন বছরের ২০.২১,২২ জানুয়ারি ঢাকার টঙ্গীতে বিশ্ব এস্তেমায় সকল বালেক পুরুষকে অংশগ্রহণের আহবান জানানো হয়েছে।
৩ দিনব্যাপী কুড়িগ্রামের এই মিনি বিশ্ব এস্তেমার বিশাল ময়দানটি শুক্রবার জুম্মার নামাজের আগে লাখো মুছল্লীর অংশগ্রহণে ভরে যায়। বিশাল ময়দানে জুম্মার নামাজ আদায় করার জন্য কুড়িগ্রাম জেলাসহ বিভিন্ন জেলার তাবলিগী দ্বীনদার মানুষরা এস্তেমা ময়দানে ছুটে আসেন।
শুক্রবার লাখো মুছল্লীর অংশগ্রহণে জুম্মার নামাজের ইমামতি করেন মুলধারা তাবলিগ জামাতের বাংলাদেশ মারকাজ কাকরাইল মসজিদের মুরব্বী মাওলানা আশরাফ আলী।
ফুলবাড়ী উপজেলার তাবলিগ জামাতের সাথী আবদুল জলিল সরকার জানান, মুলধারা তাবলিগ জামাতের ৩ দিনব্যাপী মিনি বিশ্ব এস্তেমা বা কুড়িগ্রাম জেলা এস্তেমা আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে লাখো মানুষের আমিন আমিন ধ্বনিতে শেষ হয়েছ্।ে
শনিবার দুপুর ১২ টা ৫ মিনিটের দিকে শুরু হওয়া ২৪ মিনিটের আখেরী মোনাজাত হয়। এস্তেমায় আসা কোনো মুছল্লী এবার মারা যায়নি। সফল ভাবেই এস্তমাটি সম্পন্ন হয়েছে। আমরা ফুলবাড়ী উপজেলার তাবলিগ সাথীরা এস্তেমা ময়দানে আসা লাখো মুছল্লীদের পানি সরবরাহ কাজে নিয়োজিত ছিলাম।
কুড়িগ্রামে মিনি বিশ্ব এস্তেমায় সুদূর গাইবান্ধা থেকে আসা যুবক মাহবুব জানান, তাবলিগ জামাতের এই মিনি বিশ্ব এস্তেমা শরীক হতে পেরে আমাকে অনেক ভালো লাগছে। তাবলিগ জামাতের এই এস্তেমা মানুষের জীবনে হেদায়েত পাওয়ার একটি মাধ্যম।
ফুুলবাড়ী থেকে আসা যুবক জুয়েল হাসান জানান, আমরা মিনি বিশ্ব এস্তেমায় নামাজ আদায় করতে প্রায় ৩৮-৪০ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে শুক্রকার জুম্মার নামাজ আদায় করে মনে প্রশান্তি নিয়ে বাড়ি ফিরেছি।
এ ব্যাপারে এস্তেমার আয়োজক ও তাবলিগ জামাতের কুড়িগ্রাম মারকাজ মসজিদের সাথী মতিয়ার রহমান জানান, আলহামদুলিল্লাহ সফল ভাবে প্রতিবছরের মতো এবারও কুড়িগ্রামে মুলধারা তাবলিগ জামাতের মিনি বিশ্ব এস্তেমা ৩ দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার দুপুর ১২ টার পর আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে ৩ দিনব্যাপী এ এস্তমার সমাপ্তি ঘটেছে। সারা জাহানের মানুষের শান্তি,কামিয়াবী ও দ্বীনি দাওয়াতের মানুষের হেদায়েত প্রাপ্তিতে আল্লাহর দরবারে আখেরি মোনাজাত পরিচালনা করেন মুলধারা তাবলিগ জামাতের বাংলাদেশ মারকাজ কাকরাইল মসজিদের মুরব্বী মাওলানা আশরাফ আলী।
এস্তেমায় কুড়িগ্রাম জেলাসহ বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলা ও ভারত, পাকিস্তান, শ্রিলঙ্কাসহ কয়েকটি দেশের বেশ কয়েকটি চিল্লার জামাত এস্তেমায় অংশগ্রহণ করেছে। এ এস্তেমা থেকে ৩ দিনে নতুন করে আরও ৬৭ টি চিল্লার জামাত আল্লাহর রাস্তায় বের হয়েছে।