কুড়িগ্রামের রাজারহাটে গর্ভের দোলায় কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের দাবীতে সংবাদসম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার(৩১ডিসেম্বর) দুপুরে উপজেলা অফিসার্স ক্লাবে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন কুড়িগ্রাম কুষি বিশ্ববিদ্যালয় টগরাইহাটে স্থান নির্ধারনে বাস্তবায়ন কমিটির আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা এবিএম বদরুল আলম মুকুল, সাধারণ সম্পাদক মীর মোশারফ হোসেন, মো: আহসান উল্লাহ্, আবদুল গফুর, ইউনুছ আলী মন্ডল, আবদুল খালেক মন্ডল, বীর মুক্তিযোদ্ধা আজিজুল ইসলাম মন্ডল, দেলোয়ার হোসেন ও মহুবর আলী। বক্তারা বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু রাজারহাটের টগরাইহাট এলাকায় এসেছিলেন। সেখানে তিনি এ অঞ্চলকে উন্নয়ন করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। আজ তিনি বেঁচে থাকলে অবশ্যই এ অঞ্চলের উন্নয়ন ঘটতো। তিনি সাহাদৎ বরণ করেছেন। এ এলাকার উন্নয়ন ঘটেনি। টগরাইহাট এলাকায় একটি মাত্র উচ্চবিদ্যালয় রয়েছে। এ এলাকার মানুষ অনগ্রসর। কিন্তু এখানে বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের উপযুক্ত প্রচুর জমি রয়েছে। কুড়িগ্রাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অবকাঠামো নির্মাণের জন্য ২৫০ একর জমির প্রয়োজন। তাই টগরাইহাট এলাকার গর্ভেরদোলা এলাকার প্রতাপ, হরিরাম ও বেলগাছা, জয়দেবহায়াত এবং বাজেমুজরাই মৌজায় আনুমানিক ৬০ একর সরকারি খাস জমির রয়েছে। খাস জমি ছাড়া অধিগ্রহণযোগ্য জমির পরিমাণ প্রায় ১৯০০ একর। টগরাইহাট এলাকায় উল্লিখিত মৌজা সমূহের সরকারি সর্বনিম্ন জমির মূল্য যথাক্রমে ১৫,১৯০/-, ২৩,০৩০/- ও ১৭,৫৭৫/-, ১০,৯৩১/-, ১১,১৯০/- টাকা। এ ছাড়া এ এলাকা কুড়িগ্রামের জেলার একমাত্র প্রবেশদ্বার। এখানে কুড়িগ্রাম-রংপুর হাইওয়ে সহ একাধিক পাকা সড়ক সংযোগ সহ টগরাইহাট, রাজারহাট ও কুড়িগ্রামে তিনটি রেল ষ্টেশন রয়েছে।
তাই টগরাইহাট এলাকার গর্ভের দোলায় কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করলে পুরো রংপুর বিভাগের উন্নয়ন ঘটবে সংবাদ সম্মলনের নেতৃবৃন্দ দাবী করেছেন।