দেশে আসা ও কোয়ারেন্টিনে থাকা চীনা এক নাগরিকের নমুনায় করোনার নতুন উপধরণ বিএফ-৭ শনাক্ত হয়েছে। তার নমুনার জিনোম সিকোয়েন্স করে তা চিহ্নিত করে রোগতত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান আইইডিসিআর। রোববার (১ জানুয়ারি) দুপুরে নিশ্চিত করেন প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক ডা. তাহমিনা শিরীন। আক্রান্ত নাগরিকরা সুস্থ আছেন বর্তমানে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সূত্র জানায়, মহাখালীর ডিএনসিসি হাসপাতালে কোয়ারেন্টিনে থাকা চার চীনা নাগরিকের নমুনার জিনোম সিকোয়েন্স করে একজনের শরীরে বিএফ-৭ শনাক্ত হয়েছে। বাকি তিনজনের মধ্যে দুই জনের ওমিক্রন বিএ ৫.২ উপধরণ এবং আরেকজনের বিএ ৫.২.১ উপধরণ শনাক্ত হয়েছে।
গত ২৬ ডিসেম্বর চীন থেকে আসা একটি ফ্লাইটের চার যাত্রীকে করোনা আক্রান্ত সন্দেহে আইসোলেশনে পাঠানো হয়। হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে স্বাস্থ্য স্ক্রিনিংয়ের সময় করোনা লক্ষণযুক্ত মনে হওয়ায় তাদের অ্যান্টিজেন টেস্ট করা হয়। সেখানে তাদের পজিটিভ রিপোর্ট এলে মহাখালী ডিএনসিসি হাসপাতালে আইসোলেশনে পাঠায় বিমানবন্দরের স্বাস্থ্য বিভাগ।
বিমানবন্দরের স্বাস্থ্য বিভাগের সহকারী পরিচালক ডা. শাহরিয়ার সাজ্জাদ ওই সময় বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, চার যাত্রীর মুখমণ্ডল লাল ছিল। পরে তাদের অ্যান্টিজেন টেস্ট করা হলে সেখানে পজিটিভ রিপোর্ট আসে। এ কারণে এই চার চীনা নাগরিককে আইসোলেশনে পাঠানো হয়।তারা চীন থেকে আরটিপিসিআর টেস্ট করে নেগেটিভ রিপোর্ট নিয়েই এসেছিলেন। তারপরও তাদের লক্ষণ দেখে সন্দেহ হওয়ায় অ্যান্টিজেন টেস্ট করা হয়।