পৌষ মাসের ঠাণ্ডা বাতাস ও কুয়াশা মিলে শীত জেঁকে বসেছে ভারত সীমান্ত ঘেঁষা শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার গারো পাহাড়ী এলাকাগুলোতে। হিম হিম ঠাণ্ডা আর কুয়াশায় নাকাল জনজীবন। শীতের এই তীব্রতা বেশি কাবু করছে নিম্নআয়ের মানুষকে। শীতার্ত অসহায় ও দুস্থ মানুষকে উষ্ণতা দিতে সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে পাশে দাঁড়াল ‘ভয়েস অব ঝিনাইগাতী’ নামের এক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। রোববার (১ জানুয়ারি) দুপুরে ঝিনাইগাতী উপজেলার যিদনী মডেল স্কুল চত্বরে শীতার্ত ৩০০জন মানুষের হাতে কম্বল তুলে দেন প্রধান অতিথি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারুক আল মাসুদ। আমেরিকার নিউজার্সিতে অবস্থিত একটি ওষুধ প্রস্তুতকারক কোম্পানির প্রধান গবেষক প্রবাসী বাংলাদেশী ড. জাফর ইকবালের আর্থিক সহায়তায় এ কম্বল বিতরণ করা হয়।
আয়োজক সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা ও ইউপি সদস্য মো. জাহিদুল হক মনিরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুল আলম ভূঁইয়া, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. মোস্তফা কামাল ও থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আমিনুল ইসলাম।
কম্বল পেয়ে রামেরকুড়া এলাকার জরিনা বেগম বলেন, আমার স্বামী নেই। অনেকটা কষ্ট করেই দিন পাড় করি। এই কম্বলটা শীতের হাত থেকে রক্ষা করবে। যারা কম্বলটা দিলেন, তারা যেন অনেক দিন বেঁচে থাকে। আল্লাহ তাদের ভালো রাখুক। সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা ও ইউপি সদস্য মো. জাহিদুল হক মনির বলেন, আমরা আমাদের ক্ষুদ্র প্রয়াস থেকে ‘ভয়েস অব ঝিনাইগাতী’র মাধ্যমে দরিদ্র, অসহায় মানুষদের সহায়তায় সব সময় এগিয়ে আসি। এরই ধারাবাহিকতায় শীতার্ত জনসাধারণের মধ্যে ৩০০ কম্বল দেওয়া হচ্ছে। আমাদের সেবামূলক কার্যক্রম চলমান থাকবে ইনশাল্লাহ। এজন্য সমাজের বিত্তবানদের সহযোগিতা কামনা করছি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারুক আল মাসুদ বলেন, শীতের কষ্ট সেই বুঝবে যার কাছে শীত নিবারণের মতো কোনো বস্ত্র নেই। শীতার্ত মানুষের কষ্ট লাঘবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সারাদেশে কম্বল বিতরণ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছেন। সেই কর্মসূচির সঙ্গে একাত্ম হয়ে সমাজের বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন ও ব্যক্তি প্রতিষ্ঠানের উদ্যোগে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হচ্ছে।তিনি বলেন, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘ভয়েস অব ঝিনাইগাতী’র এই উদ্যোগ প্রশংসনীয়। সব মানুষ সামর্থ্য অনুযায়ী অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ালে সমাজে কারও কষ্ট থাকবে না। সমাজের প্রতিটি মানুষের উচিত মানুষের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত করা।