ভোলার দৌলতখান উপজেলায় ১জানুয়ারী বই বিতরণ উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার উপজেলার সরকারি বেসরকারি ও কিন্ডারগার্টেন পর্যায়ের প্রায় ১ শত ৫০টি প্রাথমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কোমলমতি শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বছরের নতুন বই তুলে দেয়া হয়। নতুন বছরে নতুন বই হাতে পাওয়ার আশায় শিক্ষার্থীদের মাঝে খুশির আমেজ বিরাজ করলেও নিম্নমানের কাগজ ও অস্পষ্ট ছাপার কারণে বই পাওয়ার পর মুহূর্তেই সেই খুশির আমেজ ম্লান হয়ে যায়। ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা জানায়, এবছর সরকারের বিনা মূল্যে বিতরণের জন্য দেয়া বই খুবই নিম্নমানের। অগ্রণী প্রিন্টিং প্রেস,স্টেশন রোড, চৌমুহনী, নোয়াখালীর এসব নিম্নমানের কাগজের ও খুবই অস্পষ্ট ছাপার বই বিতরণ করা হয়েছে। এ ছাড়া শিক্ষার্থীরা শ্রেণী ভিত্তিক সব বই হাতে পায় নি। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, এবছর সরকার প্রথম শ্রেণীতে দুইটি বই, দ্বিতীয় শ্রেণীতে মাত্র একটি, তৃতীয় শ্রেণীতে তিনটি, চতুর্থ শ্রেণীতে তিনটি ও পঞ্চম শ্রেণীতে তিনটি বই সরবরাহ করেছ। সরকারিভাবে বইয়ের সংকট থাকায় এখনো শতভাগ বই পেতে সময় লাগবে। শীঘ্র প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কোমলমতি শিক্ষার্থীদের হাতে শ্রেণী ভিত্তিক সব বই সরবরাহ করতে সরকারের দৃষ্টি দেয়ার প্রয়োজন মনে করেছেন সচেতন অভিভাবক মহল।