ঝালকাঠিতে ব্যবসায়িক বিরোধের জের ধরে সাবিহা কেমিক্যাল ওয়ার্কস এর পরিচালক মো শামীম আহম্মেদের অস্ত্র হাতে একটি হামলার ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। অস্ত্র হাতে ছোট ভাইয়ের বাড়ীতে ঢুকে তার গাড়ী ভাংচুর ও ম্যানেজারকে মারধের করার ভিডিওটি এখন ঝালকাঠি শহরে টক অব দ্যাা টাউন। গত ২৯ ডিসেম্বর দৃুপুর পৌনে বাড়োটায় শহরের পূর্ব কাঠপট্ট্রি রোডের শাহি মহলে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ছোট ভাই মো. আরিফুল হক সদর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত শামীম আহম্মেদ ঝালকাঠির বাইরে রয়েছেন। শামীম ওই এলাকার মৃত হাজী শাহাবুদ্দিন মিয়ার ছেলে। এ ঘটনায় শামী,সহ দুলাল খলিফা ও আসাদুজ্জামান জামাল নামে অপর দুই জনকেও আসামি করা হয়েছে।
লিখিত অভিযোগ আরিফুল হক উল্লেখ করেন, অভিযুক্ত, মো শামীম আহম্মেদ আমার বড় ভাই। তার সাথে আমার পূর্ব হইতে ব্যবসায়ীক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। বিরোধের জের ধরো ১নং আসামি প্রায়ই আমাকে মারধর করাসহ আমার ক্ষয়ক্ষতি করার পায়তারা করছে। ঘটনার দিন ২৯ ডিসেম্বর বেলা অনুমান ১১:৪৫ মিনিটে ঝালকাঠী থানাধীন পূর্ব কাঠপট্টি এলাকায় বড় ভাই সামসুল হক মনু এর শাহী মহল নামক বাড়ির সামনে গেইটের মধ্যে আসামি শামীম আহম্মেদ আমার ম্যানেজার ১নং সাক্ষী মিঠুন চক্রবর্তীকে দেখিতে পাইয়া তাহার নিকট ১০ লক্ষ টাকা চায়। ১নং সাক্ষী টাকা দিতে অস্বীকার করিলে আসামি শামীম ক্ষিপ্ত হইয়াা ১নং সাক্ষীকে অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করে। একপর্যায় আগামী শামীম আহম্মেদ ক্ষিপ্ত হইয়াা তাহার ব্যবহৃত পিস্তল দিয়ে সাক্ষী মিঠুন চক্রবর্তীকে খুন করার হুমকি প্রদান করে। আসামি শামীম আহম্মেদ ঘটনাস্থলের পাশে থাকা আমার ব্যবহৃত গাড়ি ভাংচুর করে ৫,০০,০০০/- টাকার ক্ষতিসাধন করে এভং ওখানে থাকা স্বাক্ষিদের মারধের করে।। এ সময় আসামি দুলাল খলিফা ও আসামি আসাদুজ্জামান জামাল ঘটনাস্থলের পাশে উপস্থিত থেকে উস্কানি দেয়।
অভিযোগে আরিফ আরো উল্লেখ করেন, আসামিরা তার অফিসের ড্রয়ার ভেঙ্গে নগদ ৭ লাখ টাকা নিয়ে যায়। এ ছাড়া শামীম আহম্মেদ তার ম্যাসেন্ঝারে বাড়িতে হামলার করার হুমকি দেয় বলে অভিযোগে উরেøখ করেন আরিফুর রহমান।
এদিকে বিষয়টি ভাইরাল হলেও এ ঘটনায় রোববার সন্ধ্যা পযর্ন্ত মামলা নেয়নি পুলিশ। এ ব্যাপারে ঝালকাঠি সদর থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি নাসির উদ্দিন সরকার বলেন, এ ঘটনায় অভিযোগ পেয়েছি। সত্যতা পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
অভিযোগের বিষয় জানতে চাইলে শামিম আহমেদের মুঠোফোনে একাদিকবার ফোন দিলেও তা রিসিফ ন করায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে তার পক্ষে একটি সুত্র জানায় বিষয়টি দুই ভাইয়ের মধ্যে মিমাংসা হয়েছে।