মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ায় সীমানা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে সংঘর্ষের ঘটনায় ১২ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় এক বৃদ্ধ মারা গেছেন। এ ঘটনায় দুইজনকে আটক করেছে পুলিশ।
গতকাল রোববার দিবাগত রাত চারটার দিকে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় নিজ বাসায় মারা যান তিনি। এই ঘটনায় গজারিয়া থানায় পুলিশ যাদেরকে আটক করেছে তারা হলো সাবেক মেম্বার মো: বিল্লাল হোসেন প্রধান(৫০) পিতা মৃত আফসার উদ্দিন প্রধান, বড় রাইপাড়া থানা গজারিয়া জেলা মুন্সিগঞ্জ মোসাম্মৎ মায়া বেগম (৪৫) স্বামী জালালউদ্দিন, সাং বড় রায়পাড়া থানা গজারিয়া জেলা মুন্সিগঞ্জ।
নিহত বৃদ্ধের নাম মানিক মিয়া (৭০)। তিনি উপজেলার বালুয়াকান্দি ইউনিয়নের বড় রায়পাড়া গ্রামের মৃত চাঁন মিয়ার ছেলে। ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ও নিহতের পরিবার জানায়, সীমানা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে প্রতিবেশী সালেহা বেগমের সাথে প্রতিবেশী জালাল মিয়ার পরিবারের বিরোধ চলছিল। নিহত মানিক মিয়া সম্পর্কে সালেহা বেগমের বিয়াই। বাড়ির সীমানা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে সালেহা বেগমের সাথে বেশ কয়েক বার জালাল মিয়ার স্ত্রী মায়া বেগমের ঝগড়াঝাঁটি হয়েছে।
সর্বশেষ গত ২০ ডিসেম্বর দুপুরে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে সংঘর্ষে জড়ায় উভয়পক্ষ। এ সময় সালেহা বেগমের বিয়াই নিহত মানিক মিয়া ও তার ছেলে নুরুন্নবী সালেহা বেগমকে রক্ষায় এগিয়ে আসেন। এ সময় মায়া বেগমও তার বেয়াই সাবেক ইউপি সদস্য বিল্লাল হোসেনকে খবর দেন। বিল্লাল হোসেন ১৪-১৫ জন লোক নিয়ে এসে প্রতিপক্ষের উপর হামলা চালায়। এ সময় বিল্লাল হোসেন ও তার লোকজন প্রতিপক্ষের লোকজনকে বেধড়ক পিটিয়ে আহত করে। পরে এলাকাবাসী তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়।
গজারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, ২০ ডিসেম্বর এ ঘটনায় আহত হয়ে ৩ জন হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসেন। তারা হলেন, মানিক মিয়া (৭০), তার ছেলে নুরুন্নবী (৩৪) এবং তার বিয়াইন সালেহা বেগম (৪৫)।
আহতদের মধ্যে মানিক মিয়ার অবস্থা খারাপ ছিল। পিটিয়ে তার ডান হাত ভেঙে ফেলা হয় এবং গায়ের বিভিন্ন অংশে আঘাতের চিহ্ন ছিল। তাকে হাসপাতালে ভর্তি দেওয়া হয়েছিল। বাকি দুজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া
এ বিষয়ে গজারিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোল্লা সোহেব আলী বলেন মামলার কার্যক্রম চলছে লাশ পোস্ট ম্যাডামের জন্য মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।